পকসো আইনের আওতায় কোনও ধর্ষকই ক্ষমা ভিক্ষা করতে পারবে না : রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

পসকো আইনের আওতায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে তার সাজা কমানোর বা শাস্তির ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আবেদন করার অধিকার থাকা উচিত নয়। সংসদে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, মহিলাদের সুরক্ষায় অনেক কাজ করা হয়েছে, তবে আরও অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। মেয়েদের উপর পৈশাচিক হামলার আক্রমণ দেশের বিবেককে নাড়া দেয়। ছেলেদের মধ্যে মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধার অনুভূতি জোরদার করা প্রতিটি পিতা-মাতার দায়িত্ব।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সিরোহি জেলার আবুরোডের প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ইনস্টিটিউটের শান্তিবন ক্যাম্পাসে ‘মহিলাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, মেয়েদের নিরাপত্তা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে উপস্থিত মহিলা যোগিনীরা গোটা বিশ্বে মহিলা নেতৃত্বের উদাহরণ। এই জাতীয় সম্মেলনের বিষয়গুলি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ব্রহ্মকুমারী সংস্থাটি সামাজিক পরিবর্তনের জন্য মহিলাদের ক্ষমতায়নকে খুব বড় আকারে কার্যকর করছে। এটি সম্ভবত মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বের বৃহত্তম আধ্যাত্মিক সংস্থা।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, প্রত্যেকেই বিশ্বাস করে যে শিক্ষাই ক্ষমতায়নের ভিত্তি। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে আমাদের মহিলারা জ্ঞান সমৃদ্ধ না হলে এবং তাদের সম্পর্কিত আইন ও রীতিনীতিগুলিতে স্বাধীন ও অনুকূলে পরিবর্তন না পাওয়া পর্যন্ত একটা জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের দেশে মহিলাদের শিক্ষার হার খুব কম, তবে এটি এখন আনন্দের বিষয়, এখন মেয়েদের লেখাপড়া সহজতর করা হয়েছে। ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ প্রকল্পের আওতায় মেয়েদের ভ্রূণহত্যা ও বাল্যবিবাহ রোধ, বিদ্যালয়ে মেয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষার অধিকার প্রয়োগ এবং মহিলাদের জন্য বিদ্যালয়ে আলাদা শৌচাগার নির্মাণ করে সহায়তা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.