ওয়ান স্টার রেটিং গ্রাহকদের, সাফাই দিতে ‘হালাল ট্যাগ’ জোম্যাটোর

বুধবার থেকেই সংবাদ শিরোনামে এসেছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটো। মঙ্গলবার রাতে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে এক গ্রাহক খাবার অর্ডার করার পর দেখেন মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি তার বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়ে যাবেন। আর তা দেখেই ওই ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করেন তিনি।

বুধবার টুইটারে জোম্যাটো জানায়, ধর্মের ভিত্তিতে সংস্থা কোনভাবে বিভাজন করে না। তাই গ্রাহকের এই অভিযোগ মানা সম্ভব নয়। এরপরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। সমালোচকদের নিন্দার মুখে পড়ে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা।

বুধবার জোম্যাটো টুইট করে জানিয়েছিল “খাবারের কোন ধর্ম হয় না।”এর পরেই এই টুইটের উত্তর দিতে শুরু করেন নেটিজেনরা। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন নির্দিষ্ট কোন ধর্মে বিশ্বাস না রাখলে কিভাবে জোম্যাটো থেকে হালাল খাবার অর্ডার করা সম্ভব?

“খাবারের যদি ধর্ম না থাকে তবে কেন হালাল খাবার বিক্রি হয়? হালাল খাবারের জায়গায় ‘নন হালাল’ খাবার পাঠিয়ে কেন আপনাদের ক্ষমা চাইতে হয়?” টুইটারে এই প্রশ্ন তুলেছেন এক গ্রাহক। এই প্রশ্নের জবাবে জোম্যাটো বুধবার জানিয়েছিল, হাহাল ও ‘নন-হালাল’ খাবারের উপর জোম্যাটোর কোন হাত নেই। গ্রাহককে খাবার সম্পর্কে বেশি তথ্য দিতেই এই ট্যাগ ব্যবহার হয়।
রেস্তোরাঁগুলি নিজেদের খাবারকে আলাদা করবে বলে এই ট্যাগ ব্যবহার করে। তাদের এই কাজে কোন দায় নেই।

এই ঘটনার পরে অনেকেই App Store ও Play Store এ Zomato অ্যাপ এ ওয়ান স্টার রিভিউ দিতে শুরু করেন। হালাল সম্পর্কে সংস্থার সাফাই গ্রাহকের মন জয় করতে পারেনি। ওয়ান স্টার রিভিউ দিয়ে জোম্যাটো অ্যাপ সম্পর্কে এক গ্রাহক Google Play Store এ লিখেছেন, “এই কোম্পানি ভারতীয় সমাজকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাইছে। এছাড়াও হিন্দু জাতির অপমান করেছে এই অ্যাপ।”

উল্লেখ্য, এর আগে এক ব্যাক্তি হালাল খাবার অর্ডার করে ‘নন হালাল’ খাবার পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সংস্থার বিরুদ্ধে। যার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.