কার্গিল দিবসের দিন টুইট করে জানিয়েছিলেন, তিনি কী ভাবে জওয়ানদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শনিবার, আবারও বললেন, দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনও রকম আপস নয়। জাতীয় নিরাপত্তার কাছে যে কোনও রকম চাপই তুচ্ছ।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “১৯৯৯ সালের যুদ্ধ ভারতের শক্তির, অধ্যবসায়ের, ক্ষমতার। এই যুদ্ধ দেশের জন্য লড়া হয়েছিল, কার্গিল বিজয় প্রত্যেকটা ভারতবাসীর।” কার্গিলের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালে যুদ্ধের সময় কার্গিলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। ওই সময় জওয়ানদের পাশে রয়েছি, বোঝাতে পেরেছিলাম। সেই সময় দলের জন্য জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে কাজ করছিলাম। ওই সফর এবং সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার স্মৃতি ভোলার নয়।’’
কার্গিল বিজয়ের ২০ বছর উপলক্ষে একদিকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি অন্যদিকে দেশের সেনাবাহিনীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকালই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, সাবধান করা সত্ত্বেও পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের সঙ্গে। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াক কড়া গলায় বলেন, কার্গিলের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে পাকিস্তানকে রেয়াত করা হবে না। উল্টে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করলে মেরে নাক ভেঙে দেওয়া হবে।
আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর দেশে এখনও ৩০ থেকে ৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে। এই জঙ্গিদের অধিকাংশই আফগানিস্তান বা কাশ্মীরে লড়াই করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির উপস্থিতি নিয়ে আগের কোনও পাক সরকার আমেরিকাকে সঠিক তথ্য দেয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি, কাশ্মীরে মধ্যস্থতা নিয়ে মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, আফগানিস্তানে সাহায্যের পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করে থাকতে পারেন ইমরান। তার জেরেও ট্রাম্প কাশ্মীরে মধ্যস্থতা নিয়ে মুখ খুলে থাকতে পারেন। ইতিহাস বলছে, বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীর নিয়ে কিছুটা অযাচিত ভাবেই নাক গলিয়েছে ওয়াশিংটন। ১৯৯৯ সালে কার্গিল সঙ্কট কাটানোর জন্যও আমেরিকা মাথা গলিয়েছিল। পরে ২০০৮ সালে বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন, তখন তিনিও বলেছিলেন, পরবর্তী প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত মেটানো।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের পর বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ধরণের কোনও সাহায্য মোদী কখনও চাননি। আর আলোচনা তখনই সম্ভব যখন পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করবে। এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রতিরক্ষা বলয়কে জোরদার করাই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য। তার জন্য সেনাবাহিনী, নৌসেনা, বায়ুসেনাকে একজোট হয়ে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।”