ভ্লাদিমির পুতিন বিগত ১৮ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছে কিন্তু উনি কখনো পাকিস্থান যাননি। উনি ক্ষমতায় থাকাকালীন কয়েকবার ভারতে এসেছেন। শেষ বিশ্বযুদ্ধের পর যখন পুরো বিশ্ব দুটি পক্ষে ভাগ হয়েছিল তখন ভারত নিরপেক্ষ থাকার সিধান্ত নিয়েছিল। অর্থাৎ ভারত কোনো পক্ষে যাবে না বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত সোভিয়েত সঙ্ঘ ও সমাজবাদী পার্টির প্রতি ঝুঁকে ছিল। এই সময় পাকিস্থান আমেরিকার নেতৃত্বধীন পক্ষকে বেছেছিল। ভারত ও রুশের শক্তিশালী সম্পর্কে ভিত্তি এখান থেকেই শুরু হয়।
৩ অক্টোবর ২০১২ সালে ইসলামাবাদে চার দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্থানের, রুশ ও তাজাকিস্তানের সম্মেলন ছিল। এই সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য পুতিনের পাকিস্থান আসার কথা ছিল। পাকিস্থান আশা করেছিল যে পুতিন একদিন আগে থেকেই তাদের দেশে আসবেন। পুতিনের আশা নিয়ে পাকিস্থানে এক মাস আগে থেকেই উত্তেজনা চরমে ছিল। পাকিস্থানের মিডিয়া এটাকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে ব্যাক্ত করছিল। কিন্তু সম্মেলনের কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি পুতিন পাকিস্থানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলীকে চিঠি লিখনে। পুতিন চিঠিতে লিখেন যে উনি সম্মেলনে আসবেন না।
পুতিনের চিঠি পেয়ে পাকিস্থানের সরকার ৪ দেশের এই সম্মেলনকে বাতিল করে দেয়। সেই সময় রুশের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন সম্মেলনে সামিল হওয়ার কথায় আমরা হ্যাঁ অবশ্যই বলেছিলাম কিন্তু প্রতিনিধিমন্ডলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা আমরা কখনোই বলিনি। রুশ মনে করে পাকিস্থান যাওয়ার জন্য বিশেষ কারণ না থাকলে যাওয়ার কোনো মানে নাই। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক যাত্রাপালা করতে রুশ এর রাষ্ট্রপতি পাকিস্থান যাবে না, যদি সফরে বিশেষ কোনো চুক্তি বা বোঝাপড়ার কথা বলা হয় তবেই রুশের রাষ্ট্রপতি পাকিস্থানে পা রাখবে। বলা হয় যা রুশের সাথে ভারতের একটা মজবুত সম্পর্ক রয়েছে আর রুশ কখনোই পাকিস্থানের সাথে চুক্তি করতে গিয়ে ভারতকে হারাবে না।