হিন্দু সনাতনিদের সব চেয়ে বড় শত্রু কে বা কারা জানেন কি? পরগাছা,দুধ-ঘি খেকো, আরামপ্রিয়, আলসে, ভাষনবাজ, নধরকান্তি উচ্চ শিক্ষিত গুরু মহারাজরা আর ভাষনবাজ-ধান্দাবাজ মেকি হিন্দুত্ববাদী নেতারা।
হ্যা বন্ধুরা এরাই সমগ্র হিন্দু সনাতনি ধর্মীয় জন জাতির অস্তিত্বকে ক্রমশ বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। বিভিন্ন শাস্ত্র থেকে আধ খ্যাচড়া উদ্ধৃতি দিয়ে এরাই সমগ্র হিন্দু সনাতনি ধর্মীয় সমাজকে বিভ্রান্ত করছেন।যেমন আমরা বিভিন্ন মঠ, মন্দিরের প্রাচীরে বড বড করে লেখা দেখতে পাই–” অহিংসা পরম ধর্ম”। ছোট বেলা থেকেই শিক্ষা দেওয়া হয় এই বাক্যটা আওড়িয়ে। আর সেটা সরল বিশ্বাসে হজম করে নিজেকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্যে ” অহিংসার পুজারি” হয়ে ওঠার প্রয়াসি হই আমরা।
বলি কোথায় কোন শাস্ত্রে লেখা আছে? ” অহিংসা পরম ধর্ম”!!?????? স্বামীজি, গুরুজি, গোস্বামীজিরা আর কত কাল এই ফাজলামো, ধেষ্টামো, গ্যাড়ামো করবেন????!!! পুরো শ্লোকটা আওড়ান। বন্ধুরা এবার তবে জানুন পুরো শ্লোকটা কিঃ-
“অহিংসা পরমো ধর্মহ, ধর্মহিংসা তথৈব চ” –
অহিংসাই হল পরম ধর্ম, ধর্মরক্ষার্থে হিংসাও সেই ধর্মেরই অন্তর্গত। এর অর্থকে ব্যাখ্যা করে বলা যায়ঃ- হিংসা না করা মানুষের প্রকৃত ধর্ম কিন্তু নিজ ধর্ম রক্ষার প্রয়োজনে হিংসার আশ্রয় নেওয়া তার চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আরো স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করলেঃ- অনর্থক হিংসা করা নিষ্প্রয়োজন কিন্তু ধর্ম রক্ষার্থে হিংসা করাটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই ধর্মের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে অহিংসা নয়, হিংসাই কর্তর্ব্য এবং একান্ত পালনীয়।
আমাদের প্রায় সব দেব-দেবীরাই অস্ত্রে সজ্জিত অথচ আজ আমাদের হাতে এক গাছা লাঠিও থাকে না।ভিন দেশ থেকে ভারতে আগত শক, হুন, পাঠান, মোগোলরা আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারে নি কিন্তু ১৮৭৮ সালে ইংরেজরা আমাদের ( পড়ুন ভারতীয়দের) নিরস্ত্র করতে নিয়ে এল Indian Arms Act. উদ্দেশ্য একটাই যাতে ১৮৫৭ সালের মত আর কোন মহাবিদ্রোহ সংগঠিত না হতে পারে। নিজেকে, নিজের পরিবারকে এবং সম্পদকে রক্ষার জন্যে এবং পাশাপাশি দেশ রক্ষার জন্যে ক্রিমিনাল কেসে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ব্যতীত সকল ভারতীয় নাগরিকদের জন্যে ঢালাওভাবে ফায়ারিং আর্মসের লাইসেন্স কেন দেওয়া হবে না চাইবা মাত্র????!!! ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশরা আমাদের জন্যে এই আইন প্রনয়ন করেছিল কলোনিয়াল শাসনকে বজায় রাখতে। আজ কেন স্বাধীন ভারতবাসিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে না অস্ত্র রাখার স্বাধীনতা?? আইনি জটিল প্রক্রিয়া এবং প্রশাসনিক অসহযোগিতার কারনে সাধারন সচ্ছল মানুষদের ইচ্ছা থাকলেও আর্মস লাইসেন্সের জন্যে আবেদনে উৎসাহ বোধ করেন না। আজ যদি ধর্মীয় রীতির কারনে শিখরা কোমরে কৃপান রাখার আইনি অধিকারি হতে পারেন তবে কেন আমাদের পরিবারের মেয়েরা নিরাপত্তার জন্যে নিজের কোমরে তলোয়ার ঝুলিয়ে কলেজে যাওয়ার আইনি অধিকার পাবে না????
স্কুল -কলেজ লেভেলে তো ছাত্র ছাত্রীদের NCC এর মাধ্যমে ফায়ারিং ট্রেনিং দেওয়া হয়। কেন তারা চাইলেই ফায়ারিং আর্মসের লাইসেন্স পাবে না??
কেন ধর্মীয় জন জাতি তথা দেশ রক্ষার জন্যে আর্মস লাইসেন্স পাওয়ায় সহজ হয় যাতে তার জন্যে কেন আর্মস এক্ট সংশোধনের দাবী করছেন না স্বঘোষিত হিন্দুদের ঠিকাদার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা!!!???এখন তো কেন্দ্রে নাকি তাদের নিয়ন্ত্রিত বা তাদের আদর্শে জারিত বিজেপি সরকার বলে শুনতে পাই। তিন তালাক, অভিন্ন দেওয়ানি — এই সব আইনি কপচানি দিয়ে বোকা বানিয়ে হিন্দু সনাতনিদের ভোট হাতানোর কাজ হতে পারে কিন্তু এতে সনাতনি ধর্মীয় জন সমাজকে বিপন্নতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। চাই কলেজ লেভেলে তলোয়ার, ফায়ারিং আর্মস চালানোর বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষন, চাই সহজে ফায়ারিং আর্মসের লাইসেন্স। প্রয়োজনে লাইসেন্স ফিস হিসাবে মোটা অর্থ নিক রাষ্ট্র।
★Written by
G.C Mandal