বৈদিকযুগ বা তার পরবর্তী সময় থেকেই ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় চার বর্ণের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ যার মধ্যে একটি হল ‘ব্রাহ্মণ’৷ প্রাচীনকালে কর্ম অনুসারে এই বর্ণের বিভাগ করা হত৷ পরে বংশানুক্রমিক বর্ণপ্রথার উদ্ভব হয়৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই বদল এসেছে সমাজ ব্যবস্থায়৷ এখনকার হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণদের প্রোয়জনীয়তা কিংবা দায়িত্ব কী? তা নিয়ে প্রচার কাজ চালাচ্ছে রাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসংঘ৷
এই রাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসংঘ আসলে সংঘ-পরিবারেরই একটি শাখা সংগঠন৷ এমনটাই জানালেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির বাংলার সভাপতি ঋষিরাজ ঋতম্ভর মোহান্তি৷ তার বক্তব্য, ‘‘ব্রাহ্মণরা হিন্দু সমাজের ধারক৷ হিন্দু সংস্কৃতি ও ধর্মের আচার আচরণের রক্ষাকর্তা৷ এখনকার সমাজেও হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ব্রাহ্মণদের গুরুদায়িত্ব রয়েছে৷ এখন এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি যেখানে প্রতি মুহূর্তে হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত নেমে আসছে৷ জাতের নামে আমাদের ভাঙার চেষ্টা চলছে৷ এই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে হিন্দু সমাজকে শক্তিশালি করা এবং সব স্তরের হিন্দুদের জন্য কাজ করাই রাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসংঘের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য৷’’
ঋষিরাজ আরও জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি ঋষি পরশুরামের(হিন্দু মাইথোলজি অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর ব্রাহ্মণ অবতার) জন্ম উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ মহাসংঘ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে রুপোর গদা, ধনুক এবং কুঠার দিয়ে সংবর্ধণা জানিয়েছেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বোসের পপৌত্র চন্দ্র কুমার বোস৷ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণবঙ্গের সভাপতি প্রফেসর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিরা৷ পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানটিতে হিন্দুসমাজের জন্য ব্রাহ্মণদের কী ভূমিকা হওয়া উচিৎ তা নিয়ে রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠিও বক্তব্য রাখেন৷