জামাত জঙ্গিদের অর্থসংগ্রহের প্রধান টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ, জাল নোটের কারবার এখন অর্থসংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম

ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলের আসামে জঙ্গি নেটওয়ার্ক অনেকটা দুর্বল, তাই জঙ্গি অর্থভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য জামাতি জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের এক বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।
নিরাপত্তার শিথিলতাকে হাতিয়ার করে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলে বিশেষ করে সম্ভ্রান্ত ও ধনী ব্যক্তিদের বাসস্থান ও ফ্ল্যাটগুলোকে লক্ষ্য করে ছিঁচকে চুরি, রাহাজানি ও ডাকাতির মাধ্যমে ওই বাংলাদেশী জঙ্গিরা তাদের ডাকাতি শাখা অথবা রবারি উইংয়ের মাধ্যমে অর্থসংগ্রহের পাশাপাশি জাল নোটের কারবারের মাধ্যমেও অর্থসংগ্রহ করে বলে আরো এক সূত্রের খবর।
সীমান্তবর্তী মালদা, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট, উত্তর ও দক্ষিণ পরগনা জুড়ে রয়েছে তাদের জাল নোটের কারবার বলে খবর।
“খুব সামান্য ঘটনায় পুলিশের অথবা বিএসএফের হাতে ধরা পড়া ঘটনাগুলো জনসমক্ষে আসে , কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানে জামাতের জাল নোটের শেকড় কতটা গভীর,” বলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিক।

এন আই এর তদন্তে বহুবার উঠে এসেছে জাল নোটের কারবারে মালদার নাম। খুবই সঙ্গত কারণে এই কাজে ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই জেলা । এন আই এর তদন্তে প্রকাশ দেশের ৯৫% জাল নোটের কারবার মালদা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় ।

মাত্র কয়েকদিন আগে মালদার বৈষ্ণবনগরে এ ধরা পড়েছে জাল নোট চক্রের একটি বড় দল।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত এক মাসে অতি গোপনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার জাল নোট এবং এই ঘটনায় যেই আটজন কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার পান্ডাদের নেতা বাংলাদেশী যে মুর্শিদাবাদ ও মালদা থেকে স্থানীয় মুসলিমদের নিয়োগ করতো কারবার চালাবার জন্য।

ধৃতদের কাছ থেকে জামাতের বেশ কিছু আপত্তিকর নথিও পাওয়া গেছে যা পশ্চমবাংলার সুরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.