নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ আমন্ত্রণ আমেরিকার, নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত

নজরে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন। এই শীর্ষক আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বিশেষ আমন্ত্রণ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর সঙ্গেই আমন্ত্রিত হয়েছেন আরও ৪০টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা। এর মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিবেশের ওপর কাজ করতে আগ্রহী আমেরিকা। এজন্য পাশে দরকার বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও। এপ্রিলের ২২ ও ২৩ তারিখে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চের সম্মেলন হওয়ার কথা। এই সম্মেলনটি লাইভ করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাষ্ট্রনেতাদের বক্তব্য শুনতে পারেন।

ইউনাইটেড নেশনস ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স বা COP26 অনুষ্ঠিত হবে গ্লাসগোতে, নভেম্বর মাসে। উপস্থিত থাকার কথা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদা সুগা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ্যার বোলসোলানো, কানাডার প্রাইম মিনিস্টার জাস্টিন ট্রুডো, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু, সৌদি আরবের রাজা সলমন বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংও যোগ দেবেন দুদিনের এই সম্মেলনে। ওয়াশিংটন ডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে উদ্বেগের বিষয়। এই নিয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশই চিন্তিত। এই ফোরামে আলোচনা চলবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে।

এদিকে, কোয়াড সম্মেলনেও একই ভাবে ভারত-অ্স্ট্রেলিয়া-জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের তাবড় দেশ। রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও দাবি করেন চিন সঠিক পথে এগোচ্ছে না।

রণকৌশল বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে ছিলেন, পূর্ব লাদাখে কি হয়েছে, বিশ্বের সব দেশই তা জানে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে বিশেষত সীমান্ত নিয়ে কার্যকলাপের ক্ষেত্রে চিনের দাদাগিরি কেউই বরদাস্ত করবে না। বেজিংয়ের যুদ্ধবাজ চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে। এই বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নেই চিনের।

এদিকে, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – এই চার দেশের রাষ্ট্রগোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রকাশিত হয় জয়েন্ট ওপিনিয়ন পিস বা যৌথ বিবৃতি। কোয়াড সম্মেলন এই চার দেশকেই নতুন পথের দিশা দেখাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রনেতারা। কোয়াড সম্মেলনের প্রথম শীর্ষ বৈঠকে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগের (Quadrilateral Security Dialogue) আয়োজন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.