ভারত-উজবেকিস্তান শান্তি সম্পর্ক (India-Uzbekistan Peace Relationship) রক্ষায় বিশেষ ভুমিকা নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations)। দু’দেশ যেভাবে পারস্পারিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আন্তরিকতা দেখিয়েছে তাতে আগামী দিনে এই শান্তি প্রক্রিয়া সুদূরপ্রসারী ফল পাবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে রাষ্ট্র সংঘের মতে, এই দুই দেশকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে বৃহত্তর এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। যেভাবে আফগানিস্তানের তালিবান ও আমেরিকার মধ্যে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে নজর রয়েছে রাষ্ট্র সংঘের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার সঙ্গে তালিবানদের শান্তি চুক্তি হওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিবানদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু, নিজেদের স্বভাব বদলাতে পারেনি জঙ্গিরা। তাই প্রশাসন তাদের শর্ত মেনে জেল থেকে ছেড়ে দিলেও বাইরে বেরিয়ে ফের নাশকতার কাজে যুক্ত হচ্ছে তারা। বুধবার গিজাব জেলায় আত্মসমর্পণ করার পরেও ২৮ জন পুলিশকর্মীকে হত্যা করেছে।
আর এই ধরনের ঘটনাকে রুখতে চাইছে রাষ্ট্র সংঘ। কারণ, শান্তি সমঝোতার মাঝে নতুন করে অশান্তি সবকিছু ভেস্তে দিতে পারে। তাই এশিয়ার এই দুই শক্তিধর রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেছে রাষ্ট্র সংঘ। ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য প্রকাশ করা হবে। এশিয়া শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই বক্তৃতাটি উল্লেখযোগ্য হতে চলেছে।, যেহেতু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারত রাষ্ট্র সংঘে একটি নির্বাচিত অস্থায়ী আসন দখল করবে। তাই এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। অতি সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী রাষ্ট্রপুঞ্জ।