ঘুরে আসুন সুন্দরের মনোরম ঠিকানা ফালুট থেকে

পৃথিবীতে এমন অনেক স্বর্গদুয়ার আছে, যেখানে কোনও যানবাহন যায় না। পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয় সেইসব ভ্রমণক্ষত্রে। বহু বাঙালি ট্রেকিং-এ যান। পাহাড়ের কোলে বেয়ে হেঁটে হেঁটে শিখরে পৌঁছতে কার না ভাল লাগে! তবে ট্রেকিং-এ যেতে হলে নিজের শরীরকে রাখতে হবে একদম ফিট। এর জন্য সাড়া বছর প্রস্তুতির প্রয়োজন। অর্থাৎ মন চাইলেই হুট করে ট্রেকিং-এ বেরোনো যায় না।

পরিকল্পনা করতে হয় আগে থেকে। সান্দাকফু ট্রেকিংপ্রিয়দের কাছে খুবই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ইদানীং। এই স্বর্গদুয়ারে ইতিমধ্যেই গিয়েছেন বহু পর্যটক। কিন্তু জানেন কী, সান্দাকফু থেকে আরও একটু উঁচুতে রয়েছে আরও এক স্বর্গদুয়ার।

সেই স্বর্গদুয়ারের নাম ফালুট। সান্দাকফু থেকে ফালুটের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। তবে এই পথ বেশ দুর্গম। ধর্য্য ধরে এই দুর্গম পথ পেরোতে পারলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সুন্দরের মনোরম ঠিকানায়।

ফালুটের উচ্চতা প্রায় ১১৭৯০ ফিট। ভারতের মধ্যে এই পিক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখান থেকে উপভোগ করা যায় হিমালয়ের অপরূপ শোভা। হাতের নাগালে ঘুরে বেড়ায় মেঘের দল। রডোডেনড্রন স্বাগত জানাবে আপনাকে। কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা পাস। এছাড়াও সবুজে ঢাকা সামানদেন উপত্যকা আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানে যাওয়ার পিক টাইম অক্টোবর ও নভেম্বর এই দুটো মাস। ভালো গ্রিপের ট্রেকিং বুট ব্যবহার করুন। এই ট্রেকিং রুটের সবচেয়ে বড় অসুবিধে হল জলের অভাব। সাবার গ্রাম থেকে জল সংগ্রহ করতে হয়।

সেখানেই খাওয়াদাওয়ার জন্য ক্যাম্প রয়েছে। মোবাইলের নেটয়ার্ক থাকে না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ সঙ্গে রাখা প্রয়োজনীয়। অনেকটা পথ হাঁটতে হয়। এখানে যেতে হলে অবশ্যই শীতের পোশাক সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো যখন বরফ পড়ে প্রতিফলিত হয় চোখে। তাই সঙ্গে সানগ্লাস রাখুন। পথেঘাটেই তাঁবু খাটিয়ে রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে নিজেকে। এমন ভ্রমণ সুখী পর্যটকদের জন্য নয়। যারা ট্রেকিংপ্রেমী তাঁদের জন্য এই ভ্রমণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.