রপ্তানির মামলায় সমস্ত রেকর্ড ভাঙল ভারত! ছুঁয়ে ফেলল ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সংখ্যা

উদীয়মান সূর্যের আলাে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে যেমন আলােকিত হয়ে ওঠে তেমনি পেট্রোরসায়ন শিল্পের অগ্রগতি ও গুরুত্ব খুব কম সময়ে দ্রুত প্রসারলাভ করে।তাই এটাকে উদীয়মান শিল্প বলা হয় । এর থেকে উৎপাদিত দ্রব্যকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যাবহার করে পাশাপাশি বহু অনুসারী শিল্প গড়ে ওঠে।সমস্ত শিল্প এক হয়ে বৃহদায়তন দানবের ন্যায় বিশাল শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়। বর্তমানে ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ এই শিল্পে বিশেষ উন্নতিলাভ করছে।চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের সর্বোচ্চ পণ্যদ্রব্য রপ্তানি করেছে ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি ।যা পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে হয়ে উঠেছে ঈর্ষণীয়।

জানিয়ে দি, রপ্তানির মামলায় ভারত পুরানো সমস্ত রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। রপ্তানির পক্রিয়াকে সহজ করার দরুন এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার। ভারত থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় তার সবথেকে বেশি পরিমাণ যায় আমেরিকায়, আর এরপরেই রয়েছে চীনের নাম।

গত শুক্রবার, ২ রা জুলাই প্রকাশিত সরকারী তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন মাসে রপ্তানিকৃত রেকর্ড গত বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুনে রফতানি ৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়ে ৩২.৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, ফলে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমেছে।

চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসের তুলনায় এবছর রপ্তানি অনেকাংশে বেড়েছে। এই বছর এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারে রপ্তানি হয়েছে ৯৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের এই কোয়ার্টারে ছিল ৫১.৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের কোয়ার্টারে ১৮% রপ্তানি বৃদ্ধি হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে আমদানি করা হয়েছে ১২৬.১৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরে একই সময়ের ৬০.৬৫ বিলিয়ন ডলার অপেক্ষা বেশি।

ত্রৈমাসিকে তেল আমদানি দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ১৩.১২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৩৬.৩৬ শতাংশে ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইটারে টুইট করে জানিয়েছেন, যে মশলা এবং তৈল জাতীয় খাবারগুলি ২০২০-২১ অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় প্রথম ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণ অঙ্কের রফতানি বৃদ্ধি করেছে।

জুনে ভারত সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ছিল, গত বছরের তুলনায় এই বছর এই সময়কালে বাণিজ্য ঘাটতি ১,৪২৬.৬ শতাংশ বেড়েছে। জুনে আমদানিও ৯৬.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১.৮৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরে এই সময়কালে ২১.৩২ বিলিয়ন ডলার ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.