সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিখ্যাত আইএএস যুগল টিনা দাবি এবং আতহার খানের বিবাহ যেমন সংবাদের শিরোনামে থেকেছে, তেমনি প্রচার পেয়েছে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের কাহিনী।
সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তব্য টিনা ও আতাহারের ‘love disaster’ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় সেলিব্রিটি সার্কেলে। এই ধরণের লাভ জেহাদের উদাহরণ নাকি বলিউডে ভুরি ভুরি। আমির খান-কিরণ, সাইফ-অমৃতার বিবাহবিচ্ছেদকেও টেনে এনেছেন অনেকে।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই আতাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে তিনি টিনাকে লাভ জেহাদের জালে ফাঁসিয়েছেন। টিনা ও নাকি প্রথমে বুঝতে পারেন নি কিন্তু ক্রমে মোহভঙ্গ হতে শুরু হয়।
২০১৫ সালে ইউ পি এস সি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন টিনা এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছিলেন আতাহার খান যিনি ইউপিএসসির প্রশিক্ষণ চলাকালীনই টিনার প্রেমে হাবুডুবু খান।
রূপকথার কাহিনীর মতোই প্রেমিক যুগলএকই সঙ্গে পোস্টিং পান রাজস্থানে এবং বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করেন।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে লাভ জেহাদ বলেও সমালোচনাও করেন, কিন্তু সেই সময় কোনো রকম সমালোচনাকে পাত্তা দেননি তাঁরা।
কিন্তু সাধারণত ভারতবর্ষে যা হয় তাই হলো, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের একবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন এই দম্পতি। হঠাৎ করেই টিনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে ‘খান’ পদবী সরিয়ে দেন এবং এরপরই তাঁকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেন আতাহার।
এরই মাঝে জয়পুরের পারিবারিক আদালতে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনও করেছিলেন দুজনে। ১০ আগস্ট সেই আবেদন গ্রহণ করে কোর্ট।
বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই অনেকেই লাভ জেহাদের প্রসঙ্গ তুলেছেন এবং টিনা ভালোবাসার নাম জেহাদের শিকার বলে অনেকেরই ধারণা।