এই মহিলার হাত ধরেই ২০২২-এ মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত

২০২২-এই ভারতের জাতীয় পতাকা উড়বে মহাকাশে। কোনও না কোনও ভারতীয় যাবেন মহাকাশ অভিযানে। গত বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই প্রস্তুতি যে সত্যিই চলছে, সেকথা এরপরেই নিশ্চিত করে ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান।

ভারতের সেই ঐতিহাসিক অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলা রকেট সায়েটিস্ট ললিথাম্বিকা ভিআর। ভারতের ‘হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট প্রোগ্রাম’-এর দায়িত্বের জন্য তাঁকেই বেছে নিয়েছে ইসরো। ২০২২-এ এই অভিযানের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন মোদী। সূত্রের খবর, এই প্রজেক্টের জন্য খরচ হচ্ছে ১০,০০০ কোটি টাকা।

লঞ্চ ভেইকলের প্রযুক্তিতে বিশেষ দক্ষতার জন্য অ্যাস্ট্রোন্যটিক্যাল সোস্যাইটি অফ ইন্ডিয়া পুরস্কৃত করেছিল ললিথাম্বিকাকে। তাঁর হাত ধরেই বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা ও চিন মহাকাশে মানুষ পাঠাতে সমর্থ হয়েছে।

ইসরোর বিজ্ঞানী ললিথাম্বিকা এর আগে রকেটের অটোপাইলট সিস্টেমের জন্য কাজ করছেন। এছাড়া GSLV-Mk-3 রকেটের ডিজাইন তৈরির সময় টিমকে লিড করেছিলেন তিনিই। ওই রকেটই ভবিষ্যতে মহাকাশে মানুষ নিয়ে যাবে।

ললিথাম্বিকা ভিআর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর।

২০০৪ থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরো। তখন থেকেই ওই মিশন সফল করার জন্য নানা রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তাই, এই অভিযানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ক্রু মডিউল। এটি একটি ক্যাপসুল, যা মানুষকে মাধ্যাকর্ষণের বাইরে নিয়ে যাবে, আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসবে পৃথিবীতে। সেই প্রযুক্তি সঠিকভাবে পরীক্ষা করাই গবেষক ললিথাম্বিকার দায়িত্ব। এছাড়া এই মিশনে ডিআরডিও, এয়ার ফোর্স ও একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করার কাজটিও করবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.