যে ভারত নরসিমা রাও পেয়েছিলেন (1991) তাঁর উত্তরসূরী তথা নেহেরু-গান্ধী পরিবার থেকে এবং যে ভারত অটল বিহারী বাজপেয়ী রেখে যান(2004), তাঁর মধ্যে কতটা পার্থক্য সেটা জানতে গেলে, যে সময় আমরা সাদা কালো টিভিতে রামানন্দ সাগরের রামায়ণ কিম্বা মারাদোনার মেক্সিকো বিশ্বকাপ দেখেছে দেশ, সেই সময়ের কিছু কথা মনে করতে হয় l সারা পাড়ায় একটা সাদাকালো টিভি, একটা মাত্র দূরদর্শন চ্যানেল l পাড়ায় একটা ফ্রিজ এবং সেই ফ্রিজে প্রতিবেশীদের খাবার রাখা নিয়ে অনুপ কুমার আলোকা গাঙ্গুলির নাটক টিভিতে দেখানো হত l টেলিফোন দরকার হলে টাকা জমা দিয়ে বছরের পর বছর অপেক্ষা করে পি এন্ড টির অধিকারিককে উপঢৌকন দিলে তবেই প্রাপ্তি l বাড়ানুকূল গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীও চড়তেন না সম্ভবতঃ l আর চাকরির বাজার? একবার শঙ্করের জনঅরণ্য পড়লে জানা যাবে l সৎভাবে ব্যবসার প্রায় সব রাস্তা বন্ধ ছিল সেই যুগ l ধীরুভাই আম্বানির জীবনী অবলম্বনে বানানো ছবি ‘গুরু’ তে তৎকালীন ব্যবসার সংস্কৃতি জানা যায় l লাইসেন্স রাজ ও কোটা রাজের জন্য উদ্ভুত দুর্নীতির ফলে বেকার যুবকদের কাছে স্মাগলিং একটা সহজ জীবিকা উপার্জনের রাস্তা হয়ে দাড়ায় l সত্তর ও আশির দশকে অধিকাংশ সিনেমার ভিলেন ছিলেন স্মাগলার l অথচ 1991 এর পর হঠাৎ এই ‘স্মাগলার’ ভিলেন বলিউড থেকে বিদায় নিল কেন? ( এরপর অবশ্য অমরিশ পুরীদের স্মাগলার ছেড়ে নেতাদের অভিনয় শুরু করতে হয় ) l 1991 এর জুলাই মাসে, অর্থাৎ যখন রাওজি প্রধানমন্ত্রী হলেন, দেশের অর্থনীতি এমন অবস্থায় যায় যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল তথা IMF ভারতকে দেউলিয়া ঘোষণা করার ব্যাবস্থা নেবার হুঁশিয়ারি দেয় l রাওজির উত্তরসুরি চন্দ্রশেখরজির সরকার প্রথম আমাদের দেশে পরিবর্তনের রাস্তায় হাঁটা শুরু করলে, রাজীব গান্ধী সেই সরকার থেকে নিজের সমর্থন তুলে নেন মাত্র চার মাসে l কারণ নেহেরুভিয়ান অর্থব্যাবস্থা তখন শ্রীমদ্ভাগবত গীতার মত পবিত্র মানা হত ভারতীয় রাজনীতিতে l নির্বাচন ঘোষিত হয় l নির্বাচন চলাকালীন রাজীব গান্ধী নিহত হন l ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী হন রাও l বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ আই জি প্যাটেলকে ডাকেন অর্থমন্ত্রী পদে বসার জন্য l কিন্তু উনি নিমরাজি হলে ডাক পড়ে ডঃ মনমোহন সিংএর l তারপরে সেই 1991 এর স্বপ্নের বাজেট l একশো আশি ডিগ্ৰী ঘুরে উল্টো পথে যাওয়া শুরু করে ভারত l
কিন্তু কেন স্বাধীনতার প্রথম সাড়ে চার দশক ইন্দিরা প্রবর্তিত কঠোর সরকারী নিয়ন্ত্রণ? এর মধ্যে আছে লাইসেন্স রাজ, কোটা রাজ, মাসুল সমীকরণ, স্টক মার্কেটে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ এবং ফেরা আইনের মত কিছু আত্মঘাতী আইন, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির অঙ্গুলিহেলনে আমাদের দেশে চালু করা হয় l এর কেতাবি নাম ছিল নেহেরুভিয়ান মিশ্রঅর্থনীতি l দেশের যোজনা কমিশন ঠিক করতো কোন দ্রব্য কতটা উৎপাদন হবে, কে উৎপাদন করবে, কোন কারখানায় করবে এবং তার মূল্য কত হবে l দেশের মানুষ বাজেটের জন্য রেডিওর সামনে অধীর আগ্রহে বসে থাকতো এটা জানার জন্য যে আগামী বছরে কোন জিনিসের দাম কত হবে l অর্থনীতির বদলে যোজনা কমিশন নিয়ন্ত্রণ করতো বাজার l যারা 1991 এর আগের ভারত দেখেনি এবং আজ দোকানে গিয়ে একদিনের মধ্যে ফোন বা গাড়ি নিয়ে আসছেন, তারা ভাবতেই পারবেন না কি ছিল সেই দিন l কোন কোম্পানি কত লোহা বিদেশ থেকে আমদানি করে কাকে সেই লোহা বিক্রি করবে সেটা ঠিক করতেন সরকারি বাবুরা l
দেশের স্টকমার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতেন আইএএস অফিসাররা l কোন স্টকের কত দাম ঠিক করতেন তারা l খবরেই কাগজে একটা স্টকের দুটো দাম লেখা হত l একটা বিক্রির আরেকটা কেনার l আজকের দিনে যা ভাবা যায় না l পুরোটাই ছিল দালালদের কারসাজি l এক সম্পূর্ণ দুর্নীতিতে ভরা অসচ্ছ প্রক্রিয়া l
ফেরা আইন দেশের আমদানি রফতানীর ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল l অথচ যে কোন দেশের কিছু না কিছু বিদেশী মুদ্রা প্রয়োজন l পেট্রল ডিজেল ক্রয়, মন্ত্রী আমলা কিম্বা ছাত্রদের বিদেশে যাওয়া, কিম্বা জীবনদায়ী অসুধ বা অসুধের পেটেন্ট কেনা l কিন্তু রফতানির সব রাস্তা বন্ধ করে দেন ইন্দিরা গান্ধী এই ফেরা আইন এনে l
এছাড়া ছিল মাসুল সমীকরণের মত বৈষম্যমূলক আইন l দেশের উত্তর পূর্ব ও পূর্ব অংশ সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয় এই আইনের ফলে l
তার সঙ্গে ছিল অবিবেচকের মত বিদেশ নীতি l আমেরিকা, ইসরায়েল, জাপান এবং বেশ কিছু ইউরোপিয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খুব খারাপ l বাণিজ্য প্রায় ছিলই না l
অথচ আমাদের দেশে জনসংখ্যা পৃথিবীর এক ষষ্ঠমাংস l ক্ষমতায় এসেই 44 বছরের কালো আইনগুলি একে একে লুপ্ত করলেন রাওজি l আগেই বলেছি, প্রথমে অর্থ মন্ত্রী হবার আমন্ত্রণ দিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের একনম্বর অর্থনীতিবিদ ডঃ আই জে প্যাটেলকে l উনি রাজি না হলে দায়িত্ব দিলেন ডঃ মনমোহন সিংকে l যোজনা কমিশনে ও পরে বিদেশ মন্ত্রকে দায়িত্ব দিলেন প্রণব মুখার্জীকে l ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামকে দিলেন মুখ্য বিজ্ঞান আধিকারিকের দায়িত্ব l নির্বাচন আয়োগ ঢেলে সাজাতে স্বাধীনতা দিলেন টি এন শেষণকে l শিল্পে জোয়ার এল l স্মাগলিং উঠে গেল এমনভাবে যে বলিউড তাদের ভিলেনদের স্মাগলার বানানো বন্ধ করে দিল l জে টিসিএস শুধু আইআইটির কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক্স ছাড়া 1990 পর্যন্ত লোক নিত না, তারা 1994 তে যাদবপুর শিবপুর থেকে সিভিল মেটালার্জি বা মাইনিং এর স্নাতকদের চাকরি দেয়া শুরু করল l এরপর এরা গেল বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ার কলেজে l তারপরে NIIT, APTEK, গ্লোবসিন, CMC l
কিন্তু 1996 তে হেরে গেলেন রাওজি l দল থেকেও ব্রাত্য হলেন l সোনিয়া গান্ধীকে আবার পরাজিত কংগ্রেস তাদের রক্ষার দায়িত্ব দিলেন l পরের দুই বছর সোনিয়া গাঁধীর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হলেন দেবেগৌড়া এবং গুজরাল l দেশে আবার সমস্যা বাড়লো l 1998 এ আবার সাধারণ নির্বাচন হল এবং ক্ষমতায় এলেন অটলজি l পরের ছয় বছর একের পর এক সংস্কার ও কড়া পদক্ষেপ নিলেন অটলজি l সি পি ডাবলু ডির হাত থেকে জাতীয় সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দিলেন NHAI কে l জুড়ে দিলেন দেশের চার প্রান্ত l দেশে মোবাইল পরিষেবা চালু করলেন অটলজি l আমন্ত্রণ করলেন দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের l সফটওয়্যার শিল্পে জোয়ার এল l TCS, ইনফোসিস, উইপ্রো, সত্যম থেকে মাইক্রোসফট লক্ষ লক্ষ যুবকদের নিয়োগ শুরু করল l
1969 তে ব্যাংক জাতীয়করণের বিরোধিতা করেছিলেন অটলজি l সত্য হয়েছিল তার কথা l 1998 পর্যন্ত ব্যাংক থেকে 1% সাধারণ মানুষও বাড়ি গাড়ি বা শিক্ষার লোন পায়নি l সুদের হার কমিয়ে অপ্রিয় হলেও আবাসন, গাড়িতে এতো মানুষ ধার নেয়া শুরু করলো, যে এই দুই শিল্পে কোটি কোটি চাকরি শুরু হল l টাটা, ডি সি এম, মারুতি, হুন্দাই, হন্ডা, টয়োটা কারখানা, জেনারেল মোটর খোলা শুরু করলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র l
এলো বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কার l দেশের 50% মানুষ তখনও বিদ্যুতের আলো দেখেননি নিজের গ্রামে l বাকিরা লোডশেডিংএ পাগল l অটলজি বিদ্যুৎ পর্ষদগুলিকে তিন ভাগে ভেঙে অপ্রচলিত বিদ্যুতে বিনিয়োগের নির্দেশ দিলেন l
অটলজিও হেরে গেলেন 2004 এ l রেখে গেলেন এক নতুন ভারত l হেরে মন্তব্য করলেন, “আমরা এতো কাজ করেও হেরে গেলাম, অথচ পশ্চিমবঙ্গে একটা সরকার কিভাবে কোন কাজ না করে 27 বছর টিকে আছে সেটা জানতে আমার ইচ্ছা হয় ” l বাম নেতারা উত্তর দেন, ” আমরা মানুষের জন্য কাজ করি তাই জিতি” l আজ বাম রাজনীতি ইতিহাস l মানুষকে বেশিদিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না প্রমাণিত l
ভোটে জিতে সোনিয়া গান্ধী UPA তৈরি করলেন l সমর্থন নিলেন বামেদের l প্রধানমন্ত্রী হলেন নরসিমা রাওয়ের অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং l গঠিত হল একটি উপদেষ্টা পরিষদ যার মাথায় সোনিয়া গান্ধী এবং তার কিছু বিস্বস্ত পরিষদ যেমন আহমেদ পাটেল, এন কে নারায়ণ, পুলক চ্যাটার্জী ইত্যাদিরা l এই গোষ্ঠী নেহেরুভিয়ান অর্থব্যবস্থার পূজারী l এছাড়া সরকারের সমর্থনে ছিল বানপন্থীরা যারা উদার অর্থনীতি এবং বিশ্বায়নের সম্পূর্ণ বিপক্ষে ছিলেন l আর্থিক সংস্কারের গতি রুদ্ধ হলেও, দিক পরিবর্তনের সাহস বা ক্ষমতা ছিল না তাদের l কিন্তু অটলজির করা ব্যাঙ্কিং, পরিকাঠামো, টেলিকম, ইনফরমেশন টেকনোলজি ইত্যাদি সংস্কারের ভরবেগ উন্নয়নের গতি এগিয়ে নিয়ে গেল আগামী কয়েক বছর l বাড়লো জিডিপি, কিন্তু বাড়লো না চাকরির সংখ্যা l এরসঙ্গে জুড়ে দেয়া হল চিদাম্বরমের মত অসৎ অর্থমন্ত্রী l মনমোহন সিং বিদ্রোহ করলেন 2008 এ এবং বামেরা তুলে নিলেন সমর্থন l 2009 সাধারণ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হলেন মনমোহন l কিন্তু এবার তৃণমূলের সমর্থনে UPA 2 সরকার l মমতা ব্যানার্জী শর্ত দিলেন 2011 বিধানসভা ভোটের আগে কোন সংস্কার নয় l সেই মত প্রণববাবুকে অর্থমন্ত্রী করা হল l 2011 তে 34 বছরের বাম সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় এলেন মমতা l কিন্তু এর পরেও সংস্কারের পথে হাঁটতে দিলেন না মনমোহন সিংকে l
মনমোহন সিংকে এক অসাধারণ সুবিধাবাদী ও মেরুদন্ডহীন মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তারই প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা ডঃ সঞ্জয় বারু তার লেখা উপন্যাস THE ACCIDENTAL PRIME MINISTER উপান্যাসে l যেই রাও তাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে রাজনীতিতে এনেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর দিল্লীতে অন্তিম সংস্কার করতে দেননি ডঃ মনমোহন সিং l মমতা ব্যানার্জীর কাছেও মাথা নত করে দ্বিতীয় ইনিংস চালাতে থাকলেন তিনি, যেমনটি করেছিলেন প্রথম ইনিংসে সিপিএম এর কাছে l এদিকে বীমা, ব্যাঙ্কিং, খুচরো ব্যবসাসহ বহু ক্ষেত্রে বন্ধ সংস্কার l 2012 তে সাহসী হতে গিয়ে হারালেন তৃণমূলকে, কিন্তু পেলেন মুলায়ম সিং এর সমর্থন l তৃণমূল বেরিয়ে যেতে বেশ কিছু সংস্কার বিল সংসদে এনে পাশ করান মনমোহন l এই সময় প্রণববাবুকে রাষ্ট্রপতি করায় আবার চিদাম্বরম অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব নেন l এরপর শুরু হয় একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারি l গতি হারায় আর্থিক বিকাশ l2014 তে ত্রিশ বছর পরে আবার নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে বিজেপি l
দশ বছর পর নতুন করে আর্থিক সংস্কার যজ্ঞ শুরু হল দ্বিগুন শক্তি নিয়ে l দেশের সব মানুষের ব্যাংকের একাউন্ট খোলা এবং তাকে আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করার পর মোদীজি দেশবাসীকে ব্যাংকে টাকা রাখার অনুরোধ করলেন l চালু করলেন স্বেচ্ছায় কালো টাকা ঘোষণার প্রকল্প l এরপর 2016 তে নোটবন্দি l তারপরে 18 টি পরোক্ষ করকে বিলুপ্ত করে চালু করেন জিএসটি. এরপর বহুপ্রতিক্ষিত ইনসল্ভেন্সি এন্ড ব্যাংকরাপসি কোড, রিয়েল এস্টেটে রেগুলাটোরি অথরিটি, কৃষি বিল এবং লেবার কোডের মত বহু যুগান্তকারী বিল l সরকার ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য FRDI বিল পেশ করলে, সেটা রাজ্যসভায় আটকে যায় l আগামীদিনে আরও করা ব্যাঙ্কিং এবং নন ব্যাঙ্কিং সংস্কার বিল FSDR আনার পথে এগিয়ে চলেছে l কিন্তু এর কি কোন সুফল পেয়েছে দেশবাসী?
পশ্চিমবঙ্গের 60000 কারখানা গত পাঁচ দশকে বন্ধ হয়েছে এবং তাঁদের 1% মালিকও সম্ভবতঃ ব্যাংক, শ্রমিক বা অন্যান্য পাওনাদারদের বকেয়া মেটায় নি l অথচ দিব্যি সল্টলেক বা নিউ আলিপুরে রাজপ্রাসাদ বানিয়ে বিভিন্ন চেম্বার অফ কমার্স এ জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন l এই সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে গত সাত বছর l গত কয়েক বছরে দেশের বড় বড় প্রতারক আজ দেশ ছাড়া l অনিল আম্বানি, রুইয়ারা তাদের বকেয়া মিটিয়ে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলিকে l ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে নমিনাল জিডিপির সূচকে 2019 এ ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম আর্থিক শক্তি l আর পারচেজ পাওয়ার প্যারিটিতে জার্মানি ও জাপানকে পিছনে ফেলে তৃতীয় l
1991 এর জুলাই ত্রিশ বছর পার করল l নেহেরু গান্ধী যুগের ভুল মিশ্র অর্থনীতিকে পশ্চিমবঙ্গ বাদে সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে l ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, বৈজ্ঞানিক, অধ্যাপক, উকিল ও ব্যাবসায়ীরা বিশ্বজয়ী আজ l পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রনায়ক আজ দিওয়ালি পালন করেন l মধ্যপ্রাচ্য হিন্দু মন্দির তৈরি করছে l কিন্তু অবহেলিত সেই মানুষটি যিনি সাহস প্রথমবার দেখিয়েছিলেন এই পরিবর্তনের l তার কোন উত্তরসূরী এই অশ্বমেধের ঘোড়ার অভিমুখ বদলাতে পারেন নি l বরং এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন l শতবর্ষে পামুলাপূর্তি ভেঙ্কট নরসিমা রাও l আধুনিক ভারতের স্হপতি l
সুদীপ্ত গুহ
লেখক রাজ্য বিজেপির ইকোনমি সেলের কো-কনভেনার