চাঁদে হিলিয়ামের ভান্ডার রয়েছে, সেখানে ১০ বছরের মধ্যে ঘাঁটি তৈরি করবে ISRO: জানালেন DRDO বিজ্ঞানী।

রক্ষা অনুসন্ধান এবং বিকাশ সংগঠন (DRDO) এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী শিবথানু পিল্লাই বড়ো বক্তব্য দিয়েছেন। উনি দাবি করেছেন ভারত একটি ঘাঁটি তৈরি করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেছিলেন, চাঁদে হিলিয়াম -৩ এর বিশাল মজুদ দেখে ভারত এটি করতে পারে। এক অনুষ্ঠানে পিল্লাই বলেন, “মহাকাশ কর্মসূচিতে আমরা চারটি দেশের মধ্যে রয়েছি যারা প্রযুক্তিতে দক্ষ।” ভারত পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ এবং হিলিয়াম -3 আনতে চাঁদে তার ঘাঁটি তৈরি করতে পারে। হেলিয়াম -৩ ভবিষ্যতের জ্বালানী বলে মনে করা হচ্ছে।

এটি একটি অ-রেডিয়েটিভ উপাদান, যা ইউরেনিয়ামের চেয়ে 100 গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন করার সম্ভাবনা রাখে। পিল্লাই বলেছিলেন, ভারত ভবিষ্যতের লঞ্চের জন্য চাঁদে তার ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবে। এখন আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন চাঁদে তাদের ঘাঁটি তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। স্পষ্টতই, ভারতও এই দিকে কাজ করবে। একটি প্রোগ্রামের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ভারত চাঁদে একটি কারখানা স্থাপন করতে সক্ষম হবে। এর থেকে প্রাপ্ত হিলিয়াম -৩ পৃথিবীতে আনতে সক্ষম হলে মূল্যবান কাঁচামাল (হিলিয়াম -3 কে) প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষণ করা যাবে।” ‘ পিল্লাই বলেন যে চাঁদে ভারতের ঘাঁটি সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহে মিশনগুলির জন্য ভবিষ্যতে লঞ্চগুলির কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

জানিয়ে দি, ISRO এর উপর খরচ করা টাকা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। তবে তাদের এটা অবশ্যই জানা উচিত যে ISRO অন্য দেশের স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করে কোটি কোটি টাকা বিদেশি অর্থ অর্জন করে। যা দেশের বিকাশের জন্য কাজে লাগে। শুধু এই নয় চন্দ্রযানের মতো অভিযান গুলি ভবিষ্যতের দৃষ্টিকোন থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে যেভাবে কাঁচামাল শেষ হয়ে আসছে সেই হিসেবে অন্য গ্রহের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত। গ্রহের অনুসন্ধান ও গবেষণায় পিছিয়ে পড়লে দেশের ভবিষ্যত সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.