চিনা নাগরিক বেআইনিভাবে টাকা লেনদেন করেছিল বলে জানা গিয়েছে তদন্তে

হান কাণ্ডে এক এক করে বার হচ্ছে নয়া তথ্য। এই চিনা নাগরিক বেআইনিভাবে টাকা লেনদেন করেছিল বলে জানা গিয়েছে তদন্তে। জালিয়াতদের শতাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ধৃত হান জুনেই ভারত থেকে বিটকয়েনের সাহায্যে চিনে অর্থ পাঠাত বলে জানান এসটিএফ।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হান, তার সঙ্গীদের সঙ্গে জালিয়াতি চক্র চালাত, তা এখন নিশ্চিতভাবে জেনে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ। মালদহে প্রবেশ করে জালিয়াতি শুরু করেনি, বরং চিনে বসে থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে জালিয়াতি চালাতে শুরু করেছিল হান ও তার সঙ্গীরা। সেই জালিয়াতির টাকা ভারতবিরোধী কোনও কার্যকলাপে কাজে লাগানো হত বলে মনে করছে এসটিএফ। তাই এই বিষয়ে পাকিস্তানের চর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে হানের যোগাযোগের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।

জানা গিয়েছে, হান এবং তার সঙ্গীরা জালিয়াতির জন্য কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্যবহার করত। যে অ্যাপগুলির সার্ভার রয়েছে চিনে। সেই অ্যাপগুলির মাধ্যমেই ভুয়ো লগ্নিকারী সংস্থা বলে পরিচয় দেওয়া হত এবং মেল বা মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় টাকা বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মোটা সুদ পাওয়ার লোভে অনেকেই টাকা রাখতেন ওই সংস্থায়, আর সেই টাকাই হাতিয়ে নিত চিনা জালিয়াতরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.