নিরাপত্তার কারণে নরেন্দ্র মোদী সরকার ইতিমিধ্যেই অমরনাথ যাত্রা বাতিল করেছে। কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। শ্রীনগর থেকে ফিরে আসার বিমান ভাড়া দেখে রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের। শনিবার এবং রবিবার শ্রীনগর থেকে উড়ে যাওয়ার বিমান প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
শুধু কয়েকটা আসনই খালি আছে। মূল্য ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। দেশের বিভিন্ন ‘ট্রাভেল পোর্টাল’ শ্রীনগর থেকে দিল্লি বা মুম্বইতে ফেরার যে ভাড়া দেখাচ্ছে, তা দেখে যাত্রীদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। শ্রীনগর-দিল্লি একদিকের ভাড়া সাড়ে পনেরো হাজার থেকে শুরু। আবার, শ্রীনগর-মুম্বই ভাড়া ১৬ থেকে ১৭ হাজার।
রবিবার ভাড়া গিয়ে ঠেকতে পারে ২৫ হাজার পর্যন্ত। দেশের যাত্রীবাহী বিমান পরিবহন পরিষেবা অধিকর্তার দফতর বিষয়টির উপর নজর রাখছে। তারা জানিয়েছে, শ্রীনগর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি বেশি বিমান চালাতে ইচ্ছুক। শনিবার এবং রবিবার বেশি ভাড়া লাগতে পারে। কারণ, অল্প কয়েকটি আসন পরে আছে।
সোমবার ভাড়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। বুধবার জম্মু কাশ্মীর রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয় যে যাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বড়সড় জঙ্গি হানার আশঙ্কা রয়েছে। ফিরতে থাকেন পূর্নার্থীরা। সেনা টহল দিতে দিতে রাস্তায় পাকিস্তানের তৈরী মাইন পেয়েছিল। আরও গালাগালি উদ্ধার করা হয়েছে। সব কিছুর দিকে তাকিয়ে যাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় সরকার। ঐতিহাসিক এই অমরনাথ যাত্রা।
অমরনাথ গুহা একটি তীর্থক্ষেত্র যা জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি একটি প্রাচীন শৈব তীর্থ। এই গুহাটি সমতল থেকে ১২,৭৫৬ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। অমরনাথের গুহাটি পাহাড় ঘেরা আর এই পাহাড় গুলো সাদা তুষারে আবৃত থাকে বছরের অনেক মাস ধরে। এমনকি এই গুহার প্রবেশপথও বরফ ঢাকা থাকে।গ্রীষ্মকালে খুব স্বল্প সময়ের জন্য এই দ্বার প্রবেশের উপযোগী হয়। তখন তীর্থ যাত্রীরা অমরনাথের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। অমরনাথের গুহাতে চুইয়ে পড়া জল বরফ হয়ে জমে শিবলিঙ্গের আকার ধারণ করে।