কমলেশ তেওয়ারী হত্যাকান্ড নিয়ে পুরো দেশে চর্চা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার বড়ো সিধান্ত নিয়েছে। আসলে কমলেশ তেওয়ারীর হত্যার পেছনে উস্কানিমূলক ভাষণ দায়ী রয়েছে। অর্থাৎ কমলেশ তেওয়ারীকে অনেক ইমাম, মৌলবী হত্যার হুমকি দিয়েছিল। কমলেশ তেওয়ারীর গলা কাটার জন্য বিজনরেরএক ইমাম ৫১ লক্ষ টাকার ফতোয়া পর্যন্ত জারি করেছিলেন। ফলস্বরূপ বেশকিছু কট্টরপন্থী কমলেশ তেওয়ারীকে হত্যার টার্গেট করে ছিল। কিছুমাস আগে গুজরাট ATS কিছুজনকে গ্রেফতার করেছিল যারা কমলেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আর এখন শেষমেষ অন্য একটা গ্রুপ কমলেশের হত্যা করে দেয়। ইউপি পুলিশ জানিয়েছে, কট্টরপন্থীদের উস্কানিমূলক বক্তব্য কমলেশ তিওয়ারি হত্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সরকার এবার ফতোয়াবাজি ও উস্কানিমূলক ভাষণের উপট লাগাম লাগানোর সিধান্ত নিয়েছে।
যোগী সরকার শীঘ্রই এটি সম্পর্কে একটি বড় ঘোষণা করতে চলেছে। বিশেষত মৌলানা ও ধর্মীয় নেতাদের এখন রাজ্যে বিবৃতি দেওয়ার আগে অনেক কিছু ভাবতে হবে। পুলিশ যাদের বক্তব্য এ উস্কানিমূলক এবং যদি সাম্প্রদায়িক অনুভূতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখবে তাদের উপর কার্যবাহী করবে।
২০১৫ সালে ইসলামের প্রবর্তক হজরত মহম্মদকে নিয়ে বলার পর কমলেশ তেওয়ারীকে নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছিল। সেই সময় নানা মৌলবী, ইমাম কমলেশ এড উপর ফতোয়া জারি করেছিল। তবে কমলেশ হত্যাকান্ড এর সাথে রামমন্দির নির্মাণ ইস্যু যুক্ত আছে কিনা তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আসলে আদালতের রায় কিছুদিনের মধ্যেই আসবে। সেটাকে স্থগিত করার চেষ্টার কোনো ষড়যন্ত্র এই হত্যার পেছনে থাকতে পারে। অবশ্য যোগী সরকার বিষয়টিকে গম্ভীরভাবে নিয়েছে তথা প্রশাসনিক ব্যাবস্থা মজবুত করছে। রাজ্যে আরো ফোর্স ডেকে নেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে।