কাশ্মীরে পরিবারের হাতে আর তুলে দেওয়া হবেনা জঙ্গিদের দেহ! এবার থেকে শেষকৃত্য করবে পুলিশই

জম্মু কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবার থেকে মৃত জঙ্গিদের (Terrorist) দেহ আর পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হবেনা। নিউজ ১৮ এ একটি প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এটা করার প্রধান কারণ হল, জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়ায় অনেক মানুষের ভিড় হয়। দেশ জুড়ে করোনার কারণে ভিড় জড় করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। আর এই কারণে এখন পুলিশই জঙ্গিদের মৃতদেহর সৎকার করছে

সুত্র অনুযায়ী, মৃতদেহর অন্ত্যেষ্টি ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ববধানে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে করা হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার অনুযায়ী, ‘পরিবারের উপস্থিতিতে ধার্মিক নিয়ম অনুযায়ী অনুসাশনের সাথে অন্তিম সংস্কার করা হয়। এছাড়াও ডিএনএ স্যাম্পেল সুরক্ষিত রাখা হয়।” পুলিশ আধিকারিক সংসদে হামলার দায়ি আফজল গুরুর কথা উল্লেখ করে বলেন, আইনি ভাবে পরিবারের মানুষের কাছে মৃতদেহ দিতে বাধ্য আমরা। যেমন আফজল গুরুর ফাঁসির পর দিল্লীর তিহাড় জেলে কবর দেওয়া হয়েছিল পরিবারের মানুষের উপস্থিতিতে।

পুলিশ জানায়, কাশ্মীর এলাকায় আল-কায়দা এবং আরেকটি জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত চার জেহাদিদের ২২ এপ্রিল সরকারি গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়। কাগজপত্রে পরিস্কার লেখা হয়েছে যে, শোপিয়া জেলার নাগরিক তারিক আহমেদ ভাট আর পুলওয়ামার বাসিন্দা বশারত শাহ এবং উকিল আহমেদকে তাদের বাড়ির লোকের সামনেই গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়। যদিও, উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় সেনার এনকাউন্টারে খতম জঙ্গি উজের আহমেদ ভাটের পরিবার অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিল না।

প্রসঙ্গত, এই মাসে সোপোরে জইশ-এ-মোহম্মদ এর জঙ্গি সাজাদ নবাব এর শেষকৃত্যে শয়ে শয়ে মানুষ অংশ নিয়েছিল। এছাড়াও কুলগাম এর আরবানির হিজবুল জঙ্গি মোহম্মদ আশরাফ মালিকের শেষকৃত্যেও প্রচুর মানুষ অংশ নিয়েছিল। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর এটাই প্রথম যে, কোন জঙ্গির শেষকৃত্যে এত মানুষ অংশ নিয়েছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.