প্রথম দফায় লোকসভা ভোটে প্রাণহানি হল অন্ধ্রপ্রদেশে। সেইসঙ্গে ইভিএম নিয়ে উঠল গুরুতর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর অভিযোগ, বেশিরভাগ ইভিএম বিকৃত করা হয়েছে। তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জানা যায়, অন্ধ্রের অনন্তপুর জেলায় তাদিপাতরি বিধানসভা কেন্দ্রে নিহত হয়েছেন দু’জন। তাঁরা হলেন তেলুগু দেশমের সিদ্দা ভাস্কর রেড্ডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পুল্লা রেড্ডি। মিরাপুরম গ্রামে এক বুথের বাইরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়ে। পাথরের ঘায়েই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
চন্দ্রবাবু নায়ডুর দাবি, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ শতাংশ ইভিএমের ফলাফলের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে দেখা হোক। তাঁর কথায়, আমি বরাবরই বলে আসছি, ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কান দিচ্ছে না। অন্তত এখন তো তাদের ভাবা উচিত, ব্যালট পেপারেই ভোট নেওয়া উচিত হবে কিনা।
এদিন অন্ধ্রের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অনন্তপুর, গুন্টুর, কাডাপা এবং কুরনুলের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটযন্ত্রের ত্রুটি সারিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হতে হতে সকাল ন’টা বেজে যায়। চন্দ্রবাবুর দাবি, রাজ্যের অন্তত ৩০ শতাংশ ইভিএম বেলা ১০টা পর্যন্ত কাজ করেনি।
এদিন ভোটযন্ত্রের গোলমালে ভোট দিতে পারেননি অন্ধ্রের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার গোপালকৃষ্ণ দ্বিবেদি। তিনি গুন্টুর জেলার তাডেপল্লী শহরে ক্রিশ্চিয়ানপেটা মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে ভোট দিতে যান। গিয়ে দেখেন ইভিএম খারাপ। তখন ওই ভোট কেন্দ্রের কর্মীদের বকাবকি করেন। তবে পরে তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে ৪৫ হাজারের বেশি ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক গোলযোগের খবর পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৩৬২ টি থেকে। খবর পাওয়া মাত্র ইভিএম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে ওই সব কেন্দ্রে ভোটের সময় বাড়ানো হবে।
অন্ধ্রে জন সেনা পার্টির প্রধান পবন কল্যাণও ভোটযন্ত্রে গন্ডগোলের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ভোটের শুরুতে অন্তত ২০০ ইভিএম কাজ করেনি।
এদিন অন্ধ্রের রাজধানী অমরাবতী এলাকায় ভুন্দাভোল্লি বুথে ভোট দেন চন্দ্রবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ভুবনেশ্বরী, ছেলে নর লোকেশ ও পুত্রবধু নর ব্রাহ্মণী। লোকেশ এবার মঙ্গলগিরি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভুন্দাভোল্লি অঞ্চলটি ওই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ভোটাররা যেভাবে বিপুল সংখ্যায় বুথে এসেছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন চন্দ্রবাবু।