লোকসভা ভোট শুরু হতে আর এক মাসও দেরি নেই। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে দুই হেভিওয়েট নেতা মুলায়ম সিং যাদব ও অখিলেশ সিং যাদবের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা ফের উঠল সুপ্রিম কোর্টে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সিবিআইয়ের কাছে ওই মামলাগুলির স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ মামলা কতদূর এগিয়েছে, জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছেন, আমি জানতে চাই, মামলার তদন্ত এখন কী অবস্থায় আছে। ২০০৭ সালে মামলার একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা পড়েছিল। এই মামলাটি নথিভূক্ত করা হয়েছে কি? আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, কতদিন কেটে গিয়েছে, সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। আমরা জানতে চাই, তদন্ত কতদূর এগল।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এক ব্যক্তি আবেদন করেন, মুলায়মদের বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর এগল জানানোর জন্য সিবি আইকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এর আগে ২০০৫ সালে কংগ্রেস নেতা বিশ্বনাথ চতুর্বেদী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলেন, মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ সিং যাদব, তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব ও মুলায়মের অপর ভাই প্রতীক যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হোক। কারণ তাঁরা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদের মালিক হয়েছেন।
২০০৭ সালের ১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, মুলায়ম, অখিলেশ ও ডিম্পলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। ২০১২ সালে আদালত ফের নির্দেশ দেয়, মুলায়ম ও অখিলেশের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ডিম্পলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি যে পিটিশন করা হয়েছে, তার বক্তব্য, অখিলেশ বা মুলায়মের বিরুদ্ধে এখনও কোনও এফআইআর পর্যন্ত করা হয়নি। তাতে পুরো মামলা এমন ক্ষতি হয়েছে যা পূরণ করা অসম্ভব। শুধু তাই নয়, এর ফলে তদন্তকারী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও সততা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
আবেদনকারীর দাবি, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ও যাদব পরিবারের নানা নথি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তাঁদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।
এবার লোকসভা ভোটে দীর্ঘদিনের বিরোধ ভুলে বিএসপির সঙ্গে জোট করেছে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস রয়েছে সেই জোটের বাইরে। যদিও অখিলেশ ভোটের পরে প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলা রেখেছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।