১৯৮৯ সালে নির্বাচক রাজ সিং দুঙ্গারপুর যখন কোনো এক ১৬ বছরের বালককে পাকিস্তান সফরের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা দিয়েছিলেন, তখন কম সমালোচনা হয়নি। প্রথম টেস্ট ম্যাচে মাত্র পনেরো করে দুর্ধর্ষ ওয়াকার ইউনুসের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে সেই ছেলেটি। সিয়ালকোট টেস্টে ওয়াকার ইউনুসের বলেই নাকে আঘাত পেলেও, ক্রিজ ছাড়েনি। উল্টে সেদিনই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ঝকঝকে অর্ধ-শতরান।
সেদিন ভারতীয় দলকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচানো ওই ছেলেটিই যখন চব্বিশ বছর পর নিজের কিট ব্যাগ তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন তাঁর ঝুলিতে উপচে পড়ছে প্রায় ৩৫ হাজার আন্তর্জাতিক রান, ১০০টি সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপ সহ বহু রেকর্ড। ২০১৩-র ১৪ নভেম্বর ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারকে বিদায় জানানো রানের ফেরিওয়ালা সচিন তেন্ডুলকরের ৪৬তম জন্মদিনে, তাঁকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাতে কোনো কার্পণ্য করলেন না দেশবাসী। মাস্টার ব্লাস্টারকে শুভেচ্ছা জানাতে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সচিন ফ্যানদের তৎপরতা ছিল দেখার মতো। ফুল, মালা, চকোলেট, জাতীয় পতাকা নিয়ে সচিনের বাড়ির সামনেও জড়ো হন বহু ক্রিকেট প্রেমী। তাঁদের হাত নাড়িয়ে ধন্যবাদ জানান ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকর। লিটিল মাস্টারকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিসিসিআই সহ দেশ-বিদেশের বহু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। সচিন তেন্ডুলকরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন ও রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বরাও।