জেট এয়ারওয়েজের কর্মীদের বিপদের সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়াল স্পাইসজেট৷ সদ্য চাকরি হারানো জেটের শতাধিক কর্মীকে চাকরি দিল এই উড়ান সংস্থা৷ স্পাইসজেট জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা প্রচুর কর্মচারী নিয়োগ করেছে৷ নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে জেটের কর্মীদের৷ যার মধ্যে রয়েছে পাইলট, কেবিন ক্রু ও গ্রাউন্ড স্টাফ৷ সব মিলিয়ে ৫০০র বেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে৷
স্পাইসজেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান অজয় সিং জানান, স্পাইসজেটের ডানা আরও প্রসারিত হয়েছে৷ ফলে কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজনীতা দেখা দেয়৷ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে জেটের কর্মচারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে৷ এখন তারা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে৷ তাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল স্পাইসজেট৷ সেই মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেটের ও অন্যান্য কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে৷ স্পাইসজেট পাইলটের জন্য ১০০ জন কর্মচারী, ২০০ জনের বেশি কেবিন ক্রু ও ২০০র বেশি টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়োগ করেছে৷
কিছুদিন আগে ঋণের দায়ে জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজে সব উড়ানই বাতিল হয়৷ এই বিমান সংস্থার ঘাড়ে এখন ৮০০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে৷ গত মাসেই জেট এয়ারওয়েজ-এর প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েলকে এই বিমান সংস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাদের এই বিমান সংস্থা কেনার ব্যাপারে নিলামে কোনও ভাবেই অংশ নিতে পারবে না৷ তারপর ১৭ এপ্রিল থেকে সমস্ত উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। বিপাকে পড়েছেন বহু কর্মী ও তাঁদের পরিবার৷
অর্থ সংকটের কারণে খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ এই খবর ছড়িয়েছিল। এর জেরে শেয়ার বাজারে জেট বিমান সংস্থার দর ২০ শতাংশ পড়ে যায়। এরপর রাতেই এসেছে দুঃসংবাদ৷ আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে এই বিমান সংস্থার সব উড়ান৷ মনে করা হচ্ছে, জেট এয়ারওয়েজ যদি দ্রুত দৈনিক উড়ান সংখ্যা না বাড়ায় তবে লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে৷
সংস্থার প্রতিদিনের খরচ চালাতে জেট এয়ারওয়েজের সিইও বিনয় দুবে সংস্থার তরফে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ চান। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ হয়। ব্যাঙ্কগুলি তা দিতে অস্বীকার করে। এর পরেই উড়ান বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়৷ গত কয়েক দিন ধরে দিনে মাত্র ৩৫-৪০টি উড়ান পরিচালনা করছিল জেট কর্তৃপক্ষ৷ আগে এই সংখ্যা ছিল ১০০টি৷
অর্থ সংকটের কারণে গত জানুয়ারি মাস থেকেই জেট এয়ারওয়েজ তার কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি৷ এদিকে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি বাকি পড়ছিল। সংস্থার উচ্চ আধিকারিকদের বেতন ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কমতে থাকে উড়ান সংখ্যা।