নির্বাচন কমিশন ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার প্রসঙ্গটি আজ যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে। মানুষের বিচার না করে, তাঁর অবস্থান না দেখে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলেই তথ্য ব্যবহারের সুযোগ পান। সকলের জন্য এই সুযোগ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মতো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার অন্যতম চাবিকাঠি। সোশ্যাল মিডিয়ার সংগঠন ‘ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ (আইএএমএআই) বুধবার (২০শে মার্চ) নতুন দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী সুনীল অরোরা এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার শ্রী অশোক লাভাসা এবং শ্রী সুশীল চন্দ্রকে ‘২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের জন্য স্বেচ্ছায় এক নীতি-নির্দেশিকা’ দিয়েছে। আইএএমএআই এবং ফেসবুক, ট্যুইটার, গুগ্ল, শেয়ার-চ্যাট, টিকটক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ১৯শে মার্চ, মঙ্গলবার এক বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে নৈতিকতার এই নির্দেশাবলী তৈরি করা হয়।
শ্রী অরোরা বলেন, এ ধরণের নীতি-নির্দেশিকা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির এই নীতি-নির্দেশিকা পালনের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। এই সংস্থাগুলি নানা ধরণের মানুষকে পরিষেবা দিয়ে থাকে। এই নীতি-নির্দেশিকাটি দেশের আইনি পরিকাঠামোর মধ্যেই প্রয়োগ করা হবে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৬ নং ধারায় সিনহা কমিটির প্রস্তাব অনুসারে, কোন নিয়ম মানা না হলে এই প্ল্যাটফর্ম তিন ঘন্টার মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনকে জানাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে সম্মত হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবে। সাধারণ নির্বাচনের সময় নিয়মভঙ্গের কোন ঘটনা ঘটলে ঐ প্ল্যাটফর্ম দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটির নির্দেশিকা মেনে ঐ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অংশীদাররা একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন যার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন তৈরির সময় রাজনৈতিক পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হবে। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য এই নীতি-নির্দেশিকা স্বচ্ছতা বজায় রাখবে। প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্বেচ্ছায় প্রচার চালানোরও দায়িত্ব নিয়েছেন।
২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া অবাধ এবং স্বচ্ছ রাখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এই নীতি-নির্দেশিকাটি তৈরি করেছে।