বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরীকে খুন করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের তৎপরতা নিয়েও তুললেন প্রশ্ন।
শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে বহরমপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরীর। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক তথা উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বহরমপুরের কাছে অভিজিতদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অভিজিৎ। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা নিরাপদেই আছেন।
পরিবারের পাশে থাকতে প্রয়াত নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুকুল রায় ও দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত। বেরিয়ে এসে মুকুল রায় দাবি করেন, হত অভিজিৎ রায়চৌধুরীর স্ত্রী বলেছেন, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মুকুল রায় বলেন,”একটি দুর্ঘটনায় চোখে আঘাত লেগেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার যেভাবে তল্লাসি শুরু করেছিল, তার বিন্দুমাত্রও দেখা গেল না অভিজিৎ রায়চৌধুরীর দুর্ঘটনায়। যাই ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন, তার স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ওকে একাধিকবার চমক-ধমক দিয়েছিল শাসক দলের।”
শুক্রবারই বিজেপি নতুন করে ২৪ জন জেলা সভাপতি নির্বাচন করে। ছ’টি জেলায় জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা হয়। অভিজিৎ এর আগেও শিলিগুড়ির জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার দিনই এল দুঃসংবাদ।
উল্লেখ্য, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বারবার শুক্রবার রাতে অভিজিৎকে গাড়িতে ফিরতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের টিকিট না থাকায় সড়কপথেই রওনা দেন অভিজিৎ। কিন্তু নতুন মেয়াদের দায়িত্ব পেয়ে তাঁর আর ফেরা হল না গন্তব্যে। তরুণ নেতার অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজ্ বিজেপিতে।