১৪ ফেব্রুয়ারি পুলবামা হামলার পর ভারতীয় বায়ুসেনা ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্থানের ভেতর ১০০০ কেজি বোমা ফেলে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল। এরপর থেকে দেশের কিছু রাজনৈতিক দল এয়ার স্ট্রাইকের প্রমান চাইতে শুরু করে দিয়েছে। কংগ্রেসের মতো পুরানো পার্টির নেতারাও রাজনীতি করার জন্য এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে প্রমান চাইতে শুরু করেছে। মোদী বিরোধ করতে গিয়ে কিছু কিছু নেতা দেশের সেনার বিরোধ করে ফেলেছেন। দেশের সেনার থেকে এইভাবে প্রমান চাওয়া নিয়ে কংগ্রেস পার্টির ভেতরেই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
জানিয়ে দি, বিহার কংগ্রেস প্রবক্তা বিনোদ শর্মা সেনার উপর প্রশ্ন তোলার বিরোধ করে পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন। কংগ্রেস পার্টি থেকে ইস্তফা দিয়ে উনি বলেছেন দেশের সেনার কাছে থেকে প্রমান চাওয়াটা উনার ভালো লাগেনি। পার্টির এমন মতিগতি দেখে উনি খুবই দুঃখিত।
বিনোদ শর্মা রাহুল গান্ধীকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানে উনি লিখেছেন-“আমি নিজেকে কংগ্রেসি বলতে লজ্জা বোধ করছি, এয়ার স্ট্রাইকের প্রমান চাওয়া লজ্জাজনক, এতে সেনার মনবল ভেঙে যায়। এই সকল কারণের জন্যেই কংগ্রেস পার্টির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। দেশের মানুষ কংগ্রেসকে পাকিস্থানের এজেন্ট মনে করছে।”
বিনোদ শর্মা বলেন, আমি বিগত ৩০ বছর ধরে কংগ্রেস পার্টিতে কাজ করছি। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটাতে আমি নিজেকে কংগ্রেস পার্টির প্রবক্তা বলতে লজ্জাবোধ করছি। সেনা ১০০০ কেজির বোমা ফেলেছে এতে আতঙ্কবাদীরা মারা যাবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এটা নিয়ে পার্টি রাজনীতি করার জন্য প্রশ্ন তুলছে যা অতি লজ্জাজনক।