দলের মধ্যে গভীরভাবে বিস্তারলাভ করেছে সামাজিক বৈষম্য। শুধু তাই নয়, দলের প্রবীণ নেতাদের যথোপাযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জে চিত্তরঞ্জন দাস।
লোকসভা ভোটের মুখে প্রবীণ নেতার দলত্যাগে খুব স্বাভাভিকভাবেই চাপে পরেছে কংগ্রেস। চিত্তরঞ্জন বাবু তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ওবিসি সেলের চেয়ারম্যান ছিলেন। শুক্রবার তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের যাবতীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, “দলের মধ্যে কোনও সামাজিক সাম্যতা নেই। কংগ্রেস পার্টিতে প্রবীণ নেতাদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।”
একই দিনে দল ছেড়েছেন আরেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ ভাস্কর রাপলু। তেলেঙ্গানা থেকে তিনি কংগ্রেসের টিকিটেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। শুক্রবার তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন সেই ইস্তফাপত্র।
আনন্দ ভাস্কর রাপ্লুর এই দল বদলের পিছনে কাজ করছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার অঙ্ক। সূত্রের খবর, পালাকুরতি কেন্দ্র থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন আনন্দ ভাস্কর রাপলু। যদিও দল সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। সেই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে দীর্ঘদিনের এই কংগ্রেস নেতা বিজেপি শিবিরে যোগ দিতে পারেন।