এই মহাবাক্য আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে যখন উচ্চারিত হয় যখন তখন ইউরোপ রেইন ডিয়ার শিকার করত। আজ তারা আর তাদের মত কোট প্যান্টালুন-পরা যাবতীয় ‘কাম সারসে’-র দল শেখাচ্ছেন ধর্ম নিরপেক্ষতা।

‘সর্বে ভবন্তু’ সুখী সবার নিরাময় নীরোগ হোক দেহ মন, শান্তিতে থাকুন সবাই, এই মন্ত্রে দীক্ষিত ভারতকে ইটালির ছানা আর মস্কৌ-পিকিঙের পোনারা বলছেন সহনশীলতার গল্প।

ক্রাইস্ট চার্চ হত্যাকাণ্ডে মুক্ত কচ্ছ, বিবৃতির ঢেউ। আর শ্রীলঙ্কার বিস্ফোরণে এমন নীরবতা! নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ আর মোল্লা পক্ষ প্রমাণ না করলে কষ্ট হয়?

পরিচয়কে প্রাধান্য দিলে হিংসা বাড়ে। ১৯৯৪-এর ‘রুয়ান্ডা গণহত্যা’-র ২৫-বর্ষপূর্তিতে আজ ‘আনন্দবাজারে’ রুয়ান্ডা আর অমর্ত্য সেনের যুগলবন্দী। ৭ এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাই লক্ষাধিক টুটসি জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর কথা বলার আগে এই সব উৎকট দেশদ্রোহীর মনে থাকে না, তৈমুর লঙ্গ নামক ধর্মোন্মাদ দিল্লি-তে ঢোকেন কয়েক লক্ষ হিন্দুকে বেঁধে টানতে টানতে আনেন। দিল্লি লুণ্ঠনের সময় নিহত হয় একলক্ষ নর-নারী। তৈমুর নিজেই সব লিখেছেন তার আত্মকথায়। তৈমুর শব্দ নিয়ে আহা উহু করার সময় এসব মনে পড়ে না। বললে বলবেন, এসব কবেকার কথা। তা, হুটু টুটসি-র দ্বন্দ্বও তো দশম শতাব্দী থেকে আসা! এই সেনসেনাল খবরটা জানেন না? কি মুশকিল। জ্ঞান কি একতরফা হয়?

দশম শতাব্দীতে হুটু-রা টুটসি দের দ্বারা অত্যাচারিত শাসিত হয়েছে। বেলজিয়াম শাসনে আসার পরও হুটু-রা তাদের ethnic identify ভোলেনি! ১৯৬২-তে স্বাধীনতা পারার পর ৮৫ % হুটু-রা বঞ্চিত বোধ করতে থাকে।

একদিনে সব কিছু হয় না। দেশ ভাগের পর কেন আমাদের বারবার ধর্ম নিরপেক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে? কেন ভঙ্গ ভারত আর মিনি পাকিস্তানে টুটসিয়ানা চলবে? ইতিহাস ঘাঁটা ঠিক নয়? কেন পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হবে ‘ঘাউড়ি’-‘বাবর’-‘নাদির’?
আর আত্মপরিচয়? হিন্দু শুধু ভুলবে ? আর অন্য দিকে?

আমার বিদ্যা, জ্ঞান, রিকথ, উত্তরাধিকার, সংস্কৃতি কেড়ে নিলে আমি রোবট হয়ে যাব না? কোন মহাজাতি তা মেনে নেয়?

তীব্র প্রতিবাদ করছি॥

অচিন্ত্য বিশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.