অযোধ্যা মামলার শুনানি আজই শেষ, রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে আজই অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হবে। তারপরেই এই বিতর্কিত জমি নিয়ে রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। এই রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অযোধ্যার এই বিতর্কিত জমি নিয়ে ৩৯ দিন ধরে টানা শুনানি চলেছে। নির্মোহী আখড়া, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং উত্তরপ্রদেশ ও রামলালা বিরাজমান এই তিন পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বুধবারই শুনানি শেষ করতে হবে।

আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল ১৮ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি। পরে জানানো হয় শুক্রবার নয়, তার একদিন আগেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ করতে হবে। কিন্তু তারপরে ফের জানানো হয় যে বুধবারেই শেষ হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি।

দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সব পক্ষকেই তাদের বক্তব্য রাখার সময় দেওয়া হবে। তাই দরকার পড়লে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে শুনানি। মঙ্গলবারও বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুনানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেবেন রঞ্জন গগৈ।  সম্ভবত তার আগেই এই মামলার নিষ্পত্তি তিনি চাইছেন।  প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই সাংবিধানিক বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এসএ ববড়ে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজির। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তারই শুনানি চলছে সাংবিধানিক বেঞ্চে।

অযোধ্যার বিতর্কিত যে সৌধ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল করসেবকদের উন্মত্ত আক্রমণে, সেই সৌধের জমি সমেত মোট ২.৭৭ একর জমি নির্মোহী আখড়া, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে।

ইতিমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির প্রস্তাব ফিরিয়েছে রামলালা বিরাজমান।  এ ব্যাপারে সৌজন্য দেখাতে রাজি নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডও।

সোমবারই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে অযোধ্যা জেলা জুড়ে। পুরো জেলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে শব্দবাজি তৈরি ও বিক্রি।  ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.