ভোটের ঠিক দু’দিন আগে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। কিশতোয়ারে খুন হলেন এক আরএসএস কর্মী এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে কিশতোয়ারের সরকারি হাসপাতালে ঢুকে এক আরএসএস কর্মীকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, চন্দ্রকান্ত শর্মা নামের ওই আরএসএস কর্মী হাসপাতালে কাজ করছিলেন। জঙ্গিদের গুলি লাগে তাঁর গায়ে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে সরাসরি গুলিতে প্রাণ যায় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী রাজেন্দ্র কুমারের। গুরুতর জখম অবস্থায় চন্দ্রকান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে মারা গেলেন তিনি।
তবে ইঙ্গিত ছিল আগেই। এর আগেও চন্দ্রকান্ত শর্মার বাড়িতে হুমকি চিঠি গিয়েছিল। এ বার সরাসরি হামলা। কিশতোয়ারের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী চন্দ্রকান্ত শর্মা। মঙ্গলবারও তিনি আৎ পাঁচ দিনের মতোই হাসপাতালে গিয়েছিলেন কাজ করতে। হাসপাতালের ভিতরেই তাঁর উপরে জঙ্গিরা হামলা চালায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, জঙ্গিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আচমকাই চন্দ্রকান্ত শর্মা ও তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
ঘটনার পরেই কার্ফু জারি হয় কিশতোয়ার জুড়ে। বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় রাস্তায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এই হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি।
গত বছর জম্মুতে দুই আরএসএস কর্মী অনিল এবং অজিতের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গিদের গুলিতে। সে বারও কার্ফু জারি করতে হয়েছিল জম্মুতে।
হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু আরএসএস নয়, ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক নেতার গাড়ি লক্ষ্য করেও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। তবে কাশ্মীরের ওই নেতার কোনও ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।