রেল ভারতীয়দের সম্পত্তি, এর বেসরকারিকরণ হবে না, গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন: পীযূষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।

কিছু সময় আগে লালকেল্লা সংক্রান্ত একটা গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল মোদী সরকার লালকেল্লাকে বিক্রী করে দিয়েছে এক বেসরকারি কোম্পানির কাছে। যদিও সরকার শুধুমাত্র লালকেল্লার মেরামত ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিল, বিক্রি নয়। লালকেল্লার পর এবার রেল নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো শুরু হয়েছে। রেলের প্রাইভেটাইজেশন করে দেওয়া হবে বলে চারিদিকে গুজব ছড়িয়েছে কিছু উচ্চ শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম ও বিরোধী পক্ষরা।

বিরোধী পক্ষ তাদের রাজনীতির জন্য গুজব ছড়িয়েছে, কিন্তু উচ্চ শ্রেণীর সংবাদমাধ্যমগুলি কেন মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে তাই নিয়ে প্ৰশ্ন উঠেছে। রেলের বেসরকারিকরণের (privatisation of railway)  উপর আলোচনার মধ্যে শুক্রবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (piyush goyal)একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে রেলপথ ভারত ও ভারতীয়দের সম্পত্তি এবং তা অব্যাহত থাকবে। রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে লাগাতার যে বিতর্ক ও ভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে তার উপর বিবৃতি দেন পীযুষ গোয়েল। রেলমন্ত্রী রেলের বেসরকারীকরণের সম্ভাবনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।

পীযূষ গোয়েল বলেন সরকার রেলকপি বেসরকারীকরণ করছে না, বরং যাত্রীদের আরও উন্নততর সুবিধা দেওয়ার জন্য বেসরকারী সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক ও অন-বোর্ড পরিষেবা আউটসোর্সিং করছে। রাজ্যসভায় প্রশ্নাবলি চলাকালীন প্রশ্নের জবাবে পীযূষ গোয়েল বলেন যে, সরকার আগামী 12 বছরে রেলপথ পরিচালনার জন্য প্রায় 50 লক্ষ কোটি টাকার মূলধন প্রয়োজন।যা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একা করতে পারবে না, তাই এ জাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উচ্চ সভায় গোয়েল বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য যাত্রীদের উন্নততর পরিষেবা এবং সুবিধা প্রদান, রেলপথের বেসরকারীকরণ করা নয়”। ভারতীয় রেলপথ হ’ল ভারত ও দেশবাসীর সম্পত্তি এবং তা অব্যাহত থাকবে ” বাজেটের চাপ ও অন্যান্য সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিদিন সংসদ সদস্যরা আমার কাছে রেললাইন ও উন্নততর পরিষেবা চাইছেন। পরবর্তী 12 বছরে রেলের পক্ষে 50 লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। আমরা সকলেই এটি খুব ভাল করে জানি। তাই বেসরকারী সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক ও অন-বোর্ড পরিষেবা আউটসোর্সিং করার উপর পদক্ষেপ নিয়েছে।

যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান ভিড় মোকাবেলায় হাজার হাজার নতুন ট্রেন এবং সর্বাধিক বিনিয়োগের বিষয়েও কথা বলেন রেলমন্ত্রী। উনি বলেন যদি বেসরকারী সংস্থাগুলি রেলওয়েতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক থাকে তাতে যাত্রী ও উপভোক্তাদের লাভ হবে। রেল রাজ্য প্রতিমন্ত্রী সুরেশ আঙ্গাদি বলেন, “আমরা বেসরকারী সংস্থাগুলি থেকে কেবল বাণিজ্যিক এবং অন-বোর্ড পরিষেবা আউটসোর্সিং করছি। মালিকানা রেলওয়ের কাছেই থাকবে। আমরা কেবল লাইসেন্স দিচ্ছি। ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.