এবিপি নিউজ আর সি-ভোতার মিলে একটি সমীক্ষা করেছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা দিন দিন কমেই চলেছে। এই সার্ভে ৭ই মার্চ পর্যন্ত হয়েছে। আর এই সার্ভেতে দেশের ৫০ হাজার ৭৪০ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা কমার সবথেকে বড় কারণ হল, কংগ্রেসের নেতাদের এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মৃত জঙ্গিদের সংখ্যা জানতে চেয়ে মোদী সরকারের উপর আক্রমণ। আর এটা নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি।
এবিপি নিউজের সি ভোটার সার্ভে অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৫ সালে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ১৩ শতাংশ ছিল। সেটা ২০১৬ সালে কমে ১২ শতাংশ আর ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ দাঁড়ায়। ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা না বেড়ে কমেই চলেছিল।
সমীক্ষা অনুযায়ী গত বছর ২০১৮ এর জানুয়ারি মাসে রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বেড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছিল আর ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে ১০ শতাংশ বেড়ে ২৩ শতাংশ মানুষের প্রিয় হয়ে উথেছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার সেই জনপ্রিয়তা আবার কমে ২১ শতাংশ হয়ে গেছে।
এই বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ২৩ শতাংশ ছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তায় ভাটা পরে ১৯ শতাংশতে এসে দাঁড়ায়। আর ৭ই মার্চ রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা আরও কমে ১৬ শতাংশতে দাঁড়ায়।
এই বছর দেশে লোকসভা নির্বাচনের সাথে সাথে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও হতে চলেছে। এই নির্বাচনী বছরের কথা বললে, ১লা জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা ২৬ শতাংশ ছিল। আর ১ ফেব্রুয়ারি মানে বাজেটের দিনে সেটা কমে ২২ শতাংশ হয়ে গেছিল। ১লা মার্চ, যেদিন বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। সেদিন রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা কমে দাঁড়িয়েছিল ১৮ শতাংশতে।