লক্ষ্য সম্পর্কের উন্নয়ন। ভারত ও চিনের মধ্যে থাকা ছোট্ট দেশ ভুটানের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে ফের সফরে আসছে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কবে তিনি সফরে আসবেন সেই বিষয়ে ভুটানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কিছু জানায়নি। নীরব ভারত সরকারও। কূটনৈতিক মহলে জল্পনা, আসন্ন স্বাধীনতা দিবসের পরেই মোদী ফের সফর করবেন ভুটানে। ভুটানের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এসেছে এই সংক্রান্ত খবর।
গত বছর ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করে ভুটান। জওহরলাল নেহরু যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত করে গিয়েছিলেন ,সেটি বজায় রাখতে মরিয়া বর্তমান মোদী সরকার।
সম্প্রতি দুই দেশেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শোরিং ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রেশ ধরে দিল্লি সফর করেছেন। কিন্তু তাঁর দল ডিএনটির অবস্থান সম্পর্কে রয়েছে ধোঁয়াশা। মনে করা হচ্ছে দলটি চিনের দিকে ঝুঁকে পড়ার অবস্থান নিতে পারে। এমনই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার সফরে যাচ্ছেন মোদী।
ডোকলাম উপত্যকায় অচলাবস্থা ৭২ দিন চলে। ভুটান তখন চিন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রেখেছিল। থিম্পুর কূটনৈতিক মহলের অভিযোগ, সেই সময় ভুটান সরকার যেন চিনের সঙ্গে আলোচনা না চালায়, তার জন্য চাপ তৈরি করা হয়। এতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় থিম্পু। পরিস্থিতি পাল্টে যায় তারপর থেকেই। ভুটানে ক্রমে ছড়িয়েছে ভারতের উপর নির্ভরতা কমানোর বার্তা। কূটনীতিকদের ধারণা, চিন-ভারত-ভুটানের মধ্যে থাকা ডোকলাম ভূখণ্ড ঘিরে সীমান্ত উত্তেজনার আগে থিম্পুর প্রতি ততটা মনযোগী ছিলনা নয়াদিল্লি।
সম্প্রতি ভরতের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে এস জয়শঙ্কর ভুটান সফর করেন। থিম্পুর সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পরেই নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মোদীর এই সফর হবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রক্রিয়া। ভারতীয় লবিতেই ভুটানকে ধরে রাখতে মরিয়া মোদী।
এদিকে উঠে এসেছে চিনা কূটনৈতিক অবস্থানের বিষয়টিও। মনে করা হচ্ছে, নেপালে যেমন চিনা আধিপত্য বিস্তার হচ্ছে, তেমনই ভুটানকেও তারা লক্ষ্যবস্তু করেছে। নেপালে কিছুটা সফলতা পেলও এখনও পর্যন্ত বেজিং-থিম্পু কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি।