শ্রীকৃষ্ণ মন্দির সংস্কারে সামিল হয়ে বিদেশ সফরেও জন্মাষ্টমী পালন করবেন মোদী

তিন দিনের বিদেশ সফরে ‘বন্ধু’দেশ ফ্রান্স হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ঘুরে বাহরিনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৈরি করছেন নানা নজির। কারণ প্রথমবার ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী বাহরিন সফরে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিদেশ সফরে গিয়েও জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে মাতবেন মোদী।

রবিবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে উপসাগরের প্রাচীনতম মন্দিরে যাবেন। এই শুভলগ্নে ২০০ বছরের পুরনো কৃষ্ণ মন্দিরের সংস্কার প্রকল্পের শুভ সূচনা করবেন।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন দেশ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাজ সেরে বাহরিনে রয়েছেন। বাহরিনের রাজধানী মানামা সফরকালে মোদী ৪.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার যা ভারতীয় টাকায় ৩০ কোটি খরচে মন্দিরের উন্নয়নমূলক সংস্কার প্রকল্পের সূচনা করবেন।

থাত্তাই হিন্দু সংগঠন মন্দিরটি তৈরি করে ১৮১৭ সালে। জানা যায় এরা হলে অবিভক্ত ভারতের সিন্ধু সম্প্রদায়ের একটি অংশ। এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মন্দির এবং এটি উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম মন্দিরও। বাহরিন এই মন্দিরটি মানামার (সৌক) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদানের সম্মানে রাজ্যের সরকার মন্দিরের আশেপাশে পুরাতন মানামা অঞ্চলকে ‘বাহরিনের ছোট্ট ভারত’ হিসাবে মনোনীত করেছে।

মন্দিরটি সিন্ধুর থাত্তা থেকে থাত্তাই হিন্দু সংগঠন পরিচালনা করে এবং সেই কারণেই নামটি থাত্তাই ভাটিয়া। ১৯ নং ভাটিয়ারা উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাহরিনে বসতি স্থাপন এবং বাহরিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে। তেল আবিষ্কার হওয়ার আগেই এই সংগঠনটি বাহরিনে ছড়িয়ে পরেছে এবং তারা বাহরিনে সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম পুরনো মন্দিরগুলির মধ্যে ভগবান শ্রীনাথজির মন্দির। এই মন্দিরটি পুষ্তি মার্গ বা বল্লভ সম্পদয়ের আধ্যাত্মিক পথে রয়েছে যা ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে শ্রী বল্লভচার্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের প্রধান দেবতা। এই সম্প্রদায়ের প্রধান মন্দিরটি হ’ল – রাজস্থানের উদয়পুরের নাথদ্বার মন্দির – গোস্বামী পুরোহিতরা তৈরি করেছিলেন এবং এই মন্দিরটি পরিচালনা করেন এবং সারা বিশ্ব জুড়েই পুষ্টি মার্গের অনুসারীদের দ্বারা শ্রদ্ধা হয়।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কাশ্মীরে ৩৭৯ ধারা বিলোপের পর বিশ্বের বাকি দেশগুলির মতন বাহরিন ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও বাহরিন উভয় দেশই এই সফরে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করে সেই সমর্থনকে আনুশঠানিক স্বীকৃতি জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.