রাষ্ট্রসংঘে এমনিতেই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কোণঠাসা পাকিস্তান। এবার আরও একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তোপের মুখে ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে বসিয়ে সরাসরি এই ইস্যুতে তোপ দাগেন ট্রাম্প। তিনি বলেন মোদী খুব ভালো করে জানেন সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে কী ধরণের আচরণ করতে হবে। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সাইডলাইন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনেই একথা বলেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরেই পরোক্ষে পাকিস্তানকে ঠুকলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন ভারত ও পাকিস্তান মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে বলে আশা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই সমস্যার নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সমাধান বেরোবে। ট্রাম্প জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী অত্যন্ত বিচক্ষণ নেতা। তিনি জানেন সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কীভাবে পাকিস্তানের সাথে ব্যবহার করতে হবে।
এদিন ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে আসে কাশ্মীর ইস্যুও। ভারত ও পাকিস্তানের দুই রাষ্ট্রনেতা আলোচনাক মাধ্যমেই এই সমস্যার পথ বেছে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সোমবারই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মধ্যস্থতা করার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের আগে, যৌথ বিবৃতিতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি ভারত ও পাকিস্তান চায়, তাহলে কাশ্মীর নিয়ে তিনি মধ্যস্থতায় “প্রস্তুত ও ইচ্ছুক”। এর আগেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মার্কিন সফরের সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে আমার সাহায্য চেয়েছেন৷ এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারলে আমি খুবই খুশি হব। আমি দুই দেশের মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি।”
এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাইডলাইন বৈঠকে মোদীকে নিখাদ ভদ্রলোক ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন আগে ভারতের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে স্পষ্ট ছিল না। একতার অভাব, মতবিরোধ, রাজনীতির লড়াইয়ে দীর্ণ ভারত বেশি নজরে আসত। কিন্তু একজন সত্যিকারের অভিভাবকের মত ভারতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন মোদী। তাই আমরা সবাই ওনাকে ফাদার অফ ইণ্ডিয়া নামেই সম্বোধন করি। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির ফাঁকে বৈঠকে বসেছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
এদিন মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত ও আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে শীঘ্রই বাণিজ্য চুক্তি হবে বলে জানা গিয়েছে।