মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন কে কে? শপথের আগে ফের বৈঠকে মোদী, অমিত

দ্য ওয়াল ব্যুরো : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর কে কে তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে। এদিন সকালে ফের বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাবেন, তা নিয়েই দু’জনে শেষবারের মতো আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার মোদী ও অমিত শাহের বাড়িতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতারা। অমিত শাহ নিজেও মন্ত্রী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিন সকালে তিনি মোদীর বাড়িতে যান। তিনি দুই দশক ধরে মোদীর ঘনিষ্ঠ। অমিতের নেতৃত্বে ২০১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে চমকপ্রদ জয় পেয়েছে বিজেপি।

এবার যাঁরা মন্ত্রী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে, সেই তালিকায় আছেন রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, পীযূষ গোয়েল, নির্মলা সীতারমন, সুরেশ প্রভু, স্মৃতি ইরানি, রবিশংকর প্রসাদ, ভি কে সিং এবং রামবিলাস পাসোয়ান।

স্মৃতি এবার নেহরু-গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত অমেঠীতে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেছেন। তার পুরস্কার হিসাবে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে।

গতবারের একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবার সম্ভবত বাদ পড়বেন। তিনি অরুণ জেটলি। বুধবারই তিনি মোদীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, স্বাস্থ্যের কারণে এখন সরকারের কোনও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আপাতত চিকিৎসার দিকেই তাঁকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

জেটলি চিঠিতে মোদীর উদ্দেশে লিখেছেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাকে অনুরোধ করতে চাই, আমাকে চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হোক। নতুন সরকারে আমাকে যেন কোনও দায়িত্ব না দেওয়া হয়।

জেটলি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গত বছর মে মাসে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। তারপর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। মোদী বুধবার সন্ধ্যায় জেটলির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে অনুরোধ করেন, আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।

শিবসেনার সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, এনডিএ-র বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রত্যেক শরিক দল থেকে একজনকে মন্ত্রী করা হবে। শিবসেনা থেকে মন্ত্রী হবেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত। লোক জনশক্তি পার্টি স্থির করেছে, তাদের নেতা রামবিলাস পাসোয়ান মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন। যদিও আগে শোনা গিয়েছিল, এবার তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান মন্ত্রী হতে চলেছেন।

বিজেপি এবার যতগুলি আসন পেয়েছে, তাতে তারা একাই সরকার গড়ে ফেলতে পারে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট আছে। তখন শরিকদের প্রয়োজন হবে বিজেপির। তাই কেন্দ্রে মন্ত্রিসভা গঠনের সময় শরিক দলগুলিকে খুশি রাখতে চান অমিত শাহরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.