‘নাসা’র ভাবনা উড়িয়ে ভারতের উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপাণাস্ত্রের পরীক্ষা বিষয়ে ডিআরডিও-র বক্তব্যকেই মান্যতা দিল পেন্টাগন।
পেন্টাগনের তরফে এদিন জানানো হয়, ধ্বংস হওয়া উপগ্রহের টুকরোগুলি কিছুদিনের মধ্যেই আবহমণ্ডলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে ওই টুকরোগুলিতে মহাকাশে কোনও বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহাকাশে ভাসমান একটি উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারত। এ-স্যাট ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে একটি অকেজো কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করে ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা। এই কাজ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে করে ভারত। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের হাতে এই প্রযুক্তিগত অস্ত্র ছিল।
ক্ষেপানাস্ত্র পরীক্ষার দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ভারত শান্তিকামী দেশ। ভারতের এই পরীক্ষার ফলে বিশ্বের কোনও দেশের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যদিও পরীক্ষার পর থেকেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি বিশ্বের একাংশ। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, ভারতের পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহের যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যত মহাকাশ অভিযানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
উল্লেখ্য, সোমবার ‘নাসা’র কর্তা জিম ব্রিনডেনস্টাইন বিবৃতিতে দেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহটির ৪০০টি টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নভশ্চরদের জীবনের ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। যদিও পরদিনই নাসার দাবিকে উড়িয়ে দেন ডিআরডিও-র প্রাক্তন প্রধান ভিকে সারস্বত। তাঁর মতে, ভারত পৃথিবীর খুব কাছাকাছি কক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তাছাড়া এই সংঘর্ষের ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তার ভরবেগ এতই কম যে সেগুলি ৪৫ দিনের মধ্যে পৃথিবীর অভিকর্ষের ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ভারতের সাফল্যের ঈর্ষায় অকারণ অশঙ্কা তৈরি করছে নাসা।
এদিন ভারতের সেই দাবিকেই মান্যতা দিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগন। পেন্টাগনের মতে, মাত্র ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।