রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাহায্য নিয়ে ভারতে হামলার ছক পাকিস্তানের

ভারতের হামলা চালানোর জন্য নিত্য নতুন পথ খুঁজছে পাকিস্তান৷ ভারতের গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে এবার পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা মুসলিম কমিউনিটি৷ এরই সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ৷

জানা গিয়েছে ভারতে ধারাবাহিক হামলার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে হাত মিলিয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিম কমিউনিটি৷ এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য তুলে এনে দেবে আইএসআইকে৷ বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্বে রয়েছে জইশ জঙ্গিরা৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে নিজেদের স্লিপার সেলকে তৈরি রাখারা নির্দেশ দিয়েছে জইশ৷

ধারাবাহিক বিস্ফোরণ করানোর জন্য মূলত তাদের টার্গেট নয়াদিল্লি৷ এছাড়াও দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে সব কটি রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে৷ একই সতর্কবার্তা এসেছে বিএসএফের কাছ থেকেও৷ তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য৷

জানা গিয়েছে পাকিস্তানে ছড়িয়ে থাকা জইশ জঙ্গিরা ভারতের রোহিঙ্গা মুসলিম কমিউনিটির সাহায্যে ভারতের অন্তর্দেশীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্যের ওপর জোর দিচ্ছে৷ জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে দেশের সফট টার্গেট এলাকাগুলি, যেখানে সাধারণত নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই৷

জি নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে জইশ কমান্ডার সাবের আহমেদ নাম প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই মুহূর্তে সাবের পাকিস্তানে রয়েছে৷ মূলত রোহিঙ্গা মুসলিমদের একজোট করতেই কাজ করছে এই সাবের৷ এই লক্ষ্যে সে নাকি একবার বাংলাদেশের কক্সবাজারেও রেইকি করে গিয়েছে৷ ভারত বিরোধী কাজ চালাতে জইশের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে হাত মিলিয়েছে রোহিঙ্গারা এমনই সূত্রের খবর৷

এর আগে নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং জানান জয়েশ-ই-মহম্মদের একদল জঙ্গিকে জলের তলা দিয়ে এসে হামলা চালানোর বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে৷ পুরো বিষয়টায় নজর রাখা হচ্ছে৷ এরকম ধরনের কোনও অনুপ্রবেশ রুখে দিতে সবরকমের ব্যবস্থা নেবে নৌসেনা৷ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০০৮-এ মুম্বই হামলা হওয়ার পর থেকে অনেক বেশি সজাগ হয়েছে উপকূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই সন্ত্রাসবাদীরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেমন- বিমান বন্দর, মন্দির, গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন ছাড়াও পর্যটনস্থল এবং সরকারি দূতাবাসের উপরেও হামলা করতে পারে। এর আগে, দেশের উপকূল বাহিনী, গোয়েন্দা এবং সমস্ত পুলিশ প্রশাসনকে সবসময় হামলার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। বড়ধরনের নাশকতা এড়াতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.