রাফাল যুদ্ধ বিমান দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি গেম চেঞ্জার হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান বি এস ধানোয়া বলেছেন যে একবার রাফাল জেট ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যুক্ত হলে পাকিস্তান সীমান্ত বরারবর নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এর কাছাকাছি আসতে সাহস করবে না।
ভারতীয় বিমান বাহিনীতে রাফাল জেট সবচেয়ে ভাল যুদ্ধ বিমান এমন মন্তব্য করে শ্রী ধানোয়া বলেন, “রাফাল বিমান পৌঁছোলে নিশ্চিত রূপে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে এবং তারা (পাকিস্তান) আমাদের কাছে কাছাকাছি কোথাও আসবে না। আমরা সেই ধরনের ক্ষমতা অর্জন করবো বলে তাদের (পাকিস্তান) কাছে কোনো উত্তর “।
যুদ্ধ বিমানটির ভারতে পৌঁছানো সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা সেপ্টেম্বর মাসে রাফাল পেতে চলেছি। রাফাল আমাদের দক্ষতাকে একটি দুর্দান্ত বৃদ্ধি দেবে এবং এটি আমাদের উভয় প্রতিপক্ষের বিমানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। “
রাফাল যুদ্ধ বিমানটিতে বায়ু থেকে বায়ু মিটিওর মিশাইল সুসজ্জিত থাকবে যা ১৫০ কিমি দূরবর্তি শত্রু বিমানে হামলা করতে সক্ষম হবে।
বিমান বাহিনীর প্রধানের ওপর আক্রমন করে অবমাননাকর টুইটের জন্য পরিচিত কংগ্রেসের নেতা মনীষ তিওয়ারি বলেন, “আমি সাধারণত আমাদের জনগণের সাথে প্রকাশ্যে বিষয়গুলিতে যোগদানে বিরত থাকি। দুঃখজনকভাবে নির্বাচনের সময় এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়ার এই বিবৃতি রাজনৈতিকভাবে বলা হয়েছে এবং ভারতের বর্তমান ঘাটতিগুলির উপর প্রভাব ফেলেছে। খুব বেশি করে এট পরিহারযোগ্য “।
আইএএফ প্রধানের এই বিবৃতিতে পাকিস্তানি সেনা ও তার সন্ত্রাসীরা হয়তো ভয় পেতে পারে। কিন্তু হাস্যকর শুনতে লাগলেও এটা সত্যি যে শ্রী ধানোয়ার বক্তব্য কংগ্রেসেকেই, যারা নিজেদের ভারতীয় রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে, যেন বেশী চিন্তিত করেছে।
ভারতের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাফাল জেট তৈরি হচ্ছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে এ্যান্টনি বলেছিলেন, রাফায়েল যুদ্ধ জেট কিনেতে কোন পর্যাপ্ত তহবিল নেই কিন্তু এখন যখন মোদি সরকার ক্রয় করছে তখন কংগ্রেসে বাধা দিচ্ছে।