উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্তামান মিসাইলে ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমানকে। মার্কিন পত্রিকার রিপোর্ট উড়িয়ে এমনটাই দাবি করল বায়ুসেনা। পাকিস্তানের রেডিও সিগন্যালের প্রমাণও বলছে, ২৭ ফেব্রুয়ারির পর ফেরেনি পাকিস্তানের একটি F-16 যুদ্ধবিমান। এমনটাই জানানো হয়েছে এয়ার ফোর্সের তরফ থেকে।
সম্প্রতি মার্কিন একটি পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয় যে পাকিস্তানের সবকটি F-16 অক্ষত আছে। কোনোটিরই কোনও ক্ষতি হয়নি। অর্থাৎ ভারতের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ওই রিপোর্ট। আর তারপর সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, F-16 ধ্বংস হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বায়ুসেনা।
সূত্র বলছে, রেডিও ট্রান্সমিশন কলে রেসপন্স মেলেনি ওই F-16-এর। ভারতীয় বায়ুসেনা যে F-16 ধ্বংস করেছিল এবং তার পাইলট হাসপাতালে ভর্তি ছিল, এমন প্রমাণ বায়ুসেনার কাছে মজুত আছে বলেই দাবি। এয়ার ফোর্স বলছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৭-৮ কিলোমিটার ভিতরে ওই F-16 গুঁড়িয়ে দেন অভিনন্দন। ৭-৮ সেকেন্ডের মধ্যেই রেডিও সিগন্যাল থকে উধাও হয়ে যায় সেটি।
আরও জানা গিয়েছে যে পাকিস্তানের সবজকোটে পাক পাইলটের প্যারাশ্যুটও দেখা গিয়েছিল। আর অভিনন্দনের প্যারাশ্যুট গিয়ে পড়ে তান্ডারে। দুটি জায়গার মধ্যে ৫-৬ কিলোমিটারের তফাৎ রয়েছে।
ভারতের হাতে থাকা উইয়্যারলেসের তথ্য বলছে, পাকিস্তানের ৭ নম্বর নর্দান লাইট ইনফ্যান্টরিতে সেইসময় বলা হচ্ছিল, ‘এটা শত্রু এয়ারক্রাফট। ওদের দু’জন পাইলটকে ধরা হয়েছে।’ ওইদিনই আরও একটা কলে পাক সেনার বলে, ‘দু’জনের মধ্যে একজন পাইলট আমাদের সঙ্গে আছে আর একজন মুজাহিদীন ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে আছে।’
এরপর বায়ুসেনা জানতে পারে অভিনন্দনকে ধরে ফেলেছে পাক সেনা। পাক সেনা উইয়্যারলেসে বলে, ‘একজন পাইলটের নাম অভিনন্দন। আরও একজনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ সুতরাং বায়ুসেনার তথ্য অনুযায়ী, পাক সেনাই বলেছিল যে দু’জন পাইলট ছিল। অর্থাৎ তাদের মধ্যে একজন যদি অভিনন্দন হন, তাহলে অন্যজন পাকিস্তানের সেই F-16-এর পাইলট।
মার্কিন ওই রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের সবকটি F-16 অক্ষত আছে। ফ্লিটে যগুলি থাকার কথা সবকটিই আছে। প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা বলছেন, সবকটি F-16 একই জায়গায় রয়েছে।
ভারতের দাবি, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতের মিলিটারি ঘাঁটিতে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এফ-১৬। এমনকি আমেরিকার অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে বলে দাবি তোলে ভারত।