পুরোপুরি নিরামিষ খাবারের জায়গা, হরিদ্বারে আমিষ খাবার পরিবেশন করার অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠানো হল ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগি ও জ়োম্যাটোকে। উত্তরাখণ্ড সরকারের পাঠানো ওই নোটিসে, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফে, হরিদ্বার পুরনিগমের বিধি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে।
হরিদ্বারের ডেপুটি খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক আরএস পাল এ বিষয়ে একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, “হরিদ্বারের নানা জায়গায় আমিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় ম্যজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে ওই দুই সংস্থার কাছে আমিষ খাবার পরিবেশনের বিশেষ অনুমতি দেখতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেনি। আমিষ খাবার পরিবেশনের জন্য পুরসভা থেকে অনুমতিও নেয়নি তারা।”
এর ফলে, হরিদ্বারে শুধু নিরামিষ খাবারই খাওয়া হবে, এই নিয়ম ভেঙে সুইগি ও জ়োমাটো স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই আধিকারিক আরও বলেন, “এটা শুধু ভাবাবেগ নয়। হরিদ্বার পুর নিগমের আইন অনুসারেই গোটা শহরে আমিষ ভক্ষণ নিষিদ্ধ।” আইন ভেঙে আমিষ খাবার পরিবেশনের কারণ দর্শানোর জন্য জ়োমাটো ও সুইগিকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জ়োম্যাটোর তরফে এক মুখপাত্র বলেছেন, “নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালানোর জন্য আমরা গত কয়েক বছর ধরেই খাদ্য সুরক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। হরিদ্বারে ব্যবসা চালানোর জন্য আমরা ইতিমধ্যেই পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও জানিয়েছি। পবিত্র এই শহরের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আমরা সমর্থন করি। স্থানীয় প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশ আমরা মেনে চলব।”
সুইগির তরফে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ এলাকায় আমিষ খাবার পরিবেশন করায় তারা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ করেছে বলে দাবি তাদের। এক সুইগি-কর্তা বলেন, “১৬ মার্চ থেকে হরিদ্বারে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করেছি আমরা।”