ফের এনআরসি নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রের। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিষ্কার জানিয়ে দেন ভারতের মাটিতে কোনও অবৈধ অভিবাসীর থাকার অধিকার নেই। তাদের প্রত্যেককে যেভাবেই হোক ভারতের বাইরে যেতে হবে। এনআরসি তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদের ভারতে থাকারও কোনও অধিকার নেই।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই নন, নর্থ ইস্ট কাউন্সিল বা এনইসির চেয়ারম্যানও তিনি। এনইসির এক সম্মেলনে যোগ দিয়েই তিনি একথা বলেন। তাঁর মতে, এনআরসি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। একটি বিষয় কেন্দ্রের তরফ থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো, অবৈধ অভিবাসীরা কোনওভাবেই ভারতে থাকার সুযোগ পাবেন না। এই সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে কেন্দ্র সরকার।
এনআরসি নিয়ে এদিন বলতে গিয়ে শাহ বলেন, একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ চলছে, যা এখনও শেষ হয়নি। তবে এনআরসি নিয়ে কড়া কেন্দ্র। কোনও অবৈধ ভাবে বসবাসকারীকে রেয়াত করা হবে না। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনইসি-র ভাইস চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র সিং। তিনিও অমিত শাহের কথাকে সমর্থন করেন।
ইতিমধ্যেই এনআরসি নিয়ে অসমে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় জানা গিয়েছে ১৯.০৬ লক্ষ মানুষ তালিকার বাইরে রয়েছে৷ ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত৷ প্রাথমিকভাবে ১০.০৬ লক্ষ তালিকার বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। তালিকায় রয়েছে ৩ কোটি মানুষের নাম। যারা বৈধ নাগরিক বলে চিহ্নিত হয়েছেন।
যদিও আগেই জানান হয়েছিল যাদের নাম বাদ পড়বে তারা ফরেন ট্রাইবুন্যালে অ্যাপিল করতে পারবেন। কিন্তু আইনগত জটিলতা কাটিয়ে কতদূর কী করা সম্ভব সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যারা বাদ পরেছেন তাঁদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশি ঝড়। সেই পরিস্থিতি বেশ কিছুটা ম্যানেজ করতেই এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ২০১৩ সালে এই চুক্তিকে কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছিল। যার পরবর্তী ধাপে ২০১৫ সালে এই প্রক্রিয়াটির ফের আধুনিকীকরণ হয়।”
তিনি বারবারই বলেন, এনআরসি একটি স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া। যেখানে সরকার শুধুই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পালন করছে। অসমের এনআরসি তালিকাভুক্ত যারা নয় তাঁদের আটক করা হবে না ও তাঁরা দেশের নাগরিকদের কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। প্রয়োজনে সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। যাদের তালিকায় নাম নেই তাঁরা রাষ্ট্রহীন নয়, এমনই ঘোষণা করেছিল বিদেশমন্ত্রক।