যোগী আদিত্যনাথের সরকার উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। রাজ্যকে সমস্ত দিক থেকে উপযুক্ত করার জন্য যোগী আদিত্যনাথ একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইন কানুনের দ্বারা পরিচালনা করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এখন যোগী আদিত্যনাথ শহরের এদিকে ওদিকে, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ভিখারীদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসলে ভিখারীরা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর বিষয় একদিকে যেমন মানবতার জন্য লজ্জাজনক একইভাবে এটি দেশের ছবিকে খারাপ করার জন্যেও যথেষ্ট। বহুজন শুধুমাত্র ভারতের ভিখারী দেখিয়ে ভারতকে গরিব দেশ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। হলিউডের কিছু ডাইরেক্ট তো ভারতের ভিখারী নিয়ে ছবি বানিয়ে বানিয়ে অস্কার পর্যন্ত জিতে নিয়েছে।
এই কারণে যোগী আদিত্যনাথ ভিখারীদের উপর কার্যবাহী করার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর অনুযায়ী সরকার ভিখারীদের আর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য অনুমতি দেবে না তথা ভিখারীদের জন্য শেল্টার হোম তৈরি করা হবে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় শেল্টার হোম তৈরি করে সেখানে ভিখারীদের রাখা হবে। শুধু এই নয় ভিখারীদের মূল ধারার সাথে যুক্ত করার প্রয়াস করা হবে। কাজটি খুব কঠিন হলেও সরকার ওর উপর একটা বড় প্রয়াস করার জন্য মন বসিয়ে নিয়েছে। ভিখারীদের শেল্টার হোমে রেখে তাদেরকে রোজকারের সাথে জুড়ে দেওয়ার প্রয়াস হবে। উদাহরণ স্বরূপ বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে নোংরা পরিষ্কার করার জন্য যে অর্থ সংগ্ৰহ করা হয়, সেই অর্থ সংগ্রহ করার কাজে ভিখারীদের নিযুক্ত করা হতে পারে। অর্থাৎ ভিখারীরা পৌরসভার হয়ে সংগ্রহ করবে ইউজার চার্জ।
এরপর সেই অর্থের ১০ থেকে ২০% ভিখারীকে দেওয়া হবে। যার ফলে ভিখারী মূল ধারার সাথে জুড়তে পারবে এবং দেশ সমাজের জন্য কাজে লাগতে পারবে। একদিকে যেমন ভিখারী রোজগার করে নিজের ভিখারী তকমা মুছতে পারবে তেমনি সমাজ এই ভিখারি রোগ থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হবে। এই কাজটি খুবই দীর্ঘ সময়ের এবং কঠিন কাজ বলে গণ্য করা হচ্ছে। ভিখারী সমাজকে মূল ধারার সমাজের সাথে জুড়ে দেওয়া এত সহজে হবে না। তবে যোগী সরকার শেল্টার হোম তৈরির কাজ শুরু করে পক্রিয়া আরম্ভ করার নির্দেশ জারি করেছে।