গ্রেনেড হাতে জিহাদি বা জঙ্গি গোষ্ঠীর লোকজন গ্রেফতার হওয়ার কথা তো নতুন কিছু নয় , কিন্তু গ্রেনেড হাতে সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলা যেতে পারে। বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদজনক বিশেষ করে তখন যখন বুদ্ধিজীবীরা কলম ধরে দেশের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করে। ভারত সরকারের বিচ্ছিন্নতাবাদ নির্মূলীকরণের ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনা যথেষ্ট্যই প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো কাশ্মীর।
২৬ বছর বয়সী সাংবাদিক আদিল ফারুককে গ্রেনেড সহ গ্রেফতার করা হয়। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার পামরের বাসিন্দা। আদিল সি এন এস নিউস এজেন্সীর (CNS News Agency) সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেন।
তবে প্রথমবার নয় , আদিলকে এর আগেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে দেশবিরোধী কাজের জন্য। জিহাদিদের সাথে তার পুরানো সম্পর্ক আছে। লস্করে তাইবা, হরকতুল জিহাদি সহ বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে তার নিবিড় সম্পর্কের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্রের খবর , আদিলের বিশেষ বন্ধু বা সহযোগীর মধ্যে পড়ে হুররিয়াত কনফারেন্স(Hurriat Conference) এর বিলাল গনি লোন(Bilal Gani Lone) , ও লস্করের কমান্ডার মুহম্মদ আয়ুব লোন।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে শ্রীনগরের লাল চক(Lal Chowk) এর গোপন ডেরা থেকে দুটি তাজা গ্রেনেড সহ।
আদিলএর বর্তমান ঠিকানা কোট ভালওয়াল জেল। তবে ইতিমধ্যেই আদিল ফারুকের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে কাশ্মীর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিমরা এবং সঙ্গে আছে তাদের সবচেয়ে বিস্বস্ত বন্ধু বামপন্থীরাও।