বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে যোগ দিবস। ভারতেও ব্যতিক্রম নয়। আজ, ২১ জুন, সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্তে ঘটা করে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে যোগব্যায়ামের বিশেষ পৃষ্ঠপোষক, তা সকলেই জানেন। ফলে এই দিবস উপলক্ষে আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছেন তিনি। প্রকাশ করেছেন একাধিক যোগশিক্ষার ভিডিও-ও।
এ দিন, যোগ দিবসে একেবারে সাতসকালেই ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে যোগাসনের অনুষ্ঠানে সামিল হতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তবে শুধু মোদীই নন, পিছিয়ে ছিল না এ রাজ্যও। কলকাতায় যোগাসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও। পাশাপাশি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও দেখা যায় যোগ দিবস পালন করতে। এই নেতাদের পাশাপাশি, দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও এ দিন যোগ দেন যোগদিবসের অনুষ্ঠানে।
শুক্রবার ভোরে রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগাভ্যাস করেন মোদী। সেখান থেকেই দেশবাসীকে যোগদিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। দেশের জনগণের উদ্দেশে যোগাসনের মঞ্চ থেকে মোদী বার্তা দেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নতির লক্ষ্যে যোগাভ্যাস করার জন্য। জীবনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ যোগাসনের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
যোগ দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে মোদীর মূল বার্তা ছিল, “আমাদের উচিত যোগাভ্যাসকে শহর থেকে গ্রামে ও উপজাতি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া। যোগ সব ধর্ম, বিশ্বাস এবং সব কিছুর ঊর্ধ্বে। যোগ ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা রোজকার রুটিনের অংশ করে নিন যোগকে।”
ভারত-চিন সীমান্তে, বরফে ঢাকা পাহাড়গুলির মাথাতেও প্রচণ্ড ঠান্ডায় যোগাসন সারেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর আইটিবিপি জওয়ানরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ফুট ওপরে রোতাং পাসে মাইনাস ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যোগাভ্যাস করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার পর থেকে প্রতি বছরই ভারত সহ গোটা বিশ্বে এই দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে।