একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় সেনা সৈন্য উপকরণের জন্য অভাব ভুগত। এমনকি পায়ের জুতো, শীতের পোশাক নিয়ে চিন্তায় ভুগত ভারতীয় সেনা কিন্তু কংগ্রেস সরকার সৈন্য ব্যবস্থার উপর কোনো নজর দিত না। এর কারণ কোথাও না কোথাও সরকারে বসে থাকা লোকজন দেশের খাজানা খালি করে ফেলেছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলতেন যা আছে তাই নিয়েই যেন সেনা চালিয়ে নেয়, অর্থ ভান্ডার খালি আছে। তবে এখন যখন নরেন্দ্র মোদী পুনরায় দেশের খাজানা আবার পরিপূর্ণ করে দিয়েছে তখন বিরোধী শক্তি মোদীকে হারিয়ে শাসন পদ পাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে।
তবে মোদীর প্রতি দেশের মানুষ যে বিশ্বাস দেখিয়েছে তাতে উনাকে হারানো প্রায় অসম্ভব। ৫ বছরের শেষ সময় অবধি নরেন্দ্র মোদীর সরকার দেশের সেনার জন্য একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে। এখন একটা বড় খবর সামনে আসছে যেখানে সরকার একটা নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সেনার উপকরণ কেনার সময় যেন স্বদেশী কোম্পানিগুলোকে বেশি সুযোগ দেওয়া হয়।
আপাতত সেনার পোশাক সহ ও কিছু উপকরণ কেনার জন্য নতুন নীতি মেনে কাজ করা হবে। কিছু সময়ের মধ্যে পুরো সিস্টেমকে এই নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সম্প্রতি মুম্বাইতে এক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সুরক্ষাখাতে কেনাকাটি করার জন্য স্বদেশী উৎপাদকের সীমা দ্বিতীয়বার ঠিক করা হবে। সেনার জন্য টেকনিক্যাল ক্লোথ কেনার ক্ষেত্রে যদি বাজেট ৫০ লক্ষের কম থাকে তাহলে টেন্ডার প্রক্রিয়াতে শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দেওয়া হবে।
টেকনিক্যাল ক্লোথ এর মধ্যে অতি উচ্চতায় ব্যাবহৃত পোশাক,বরফের উপর চলার জন্য ব্যবহৃত জুতো, স্লিপিংস ব্যাগ, ভেতরে পরিধান করা পোশাক ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে বাজেট ৫০ লক্ষের মধ্যে থাকলে টেন্ডার দেশের কোম্পানিকে দেওয়া হবে। সেনা প্রমুখ বলেন , এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে যাতে দেশ সুরক্ষা মামলায় আত্মনির্ভর হতে পারে।