লাভ জিহাদের ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলার বেহেরা গ্রামে। একজন মুসলিম ব্যক্তি একটি দলিত হিন্দু বিধবার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঐ ব্যাক্তি নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং নিজেকে অর্জুন পরিচয় দেন।এরপর মহিলা যখন তাকে বিয়ে করতে বলেন, তখন সেই ব্যাক্তি তাকে আসল ঘটনাটি বলেন এবং তিনি ঐ মহিলাকে বলেন যে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তবেই তাকে বিয়ে করবেন।লোকটির আসল নাম মোহাম্মদ রহিম।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রহিমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে ঐ ব্যক্তি বিহারের মুজাফফরপুর জেলার বাসিন্দা। মহিলাটি বেহেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা অভিযোগ দায়ের করার সময় উল্লেখ করেন যে ঐ ব্যক্তি অর্জুন নাম নিয়ে হিন্দু পরিচয় দিয়ে তার সাথে সম্পর্কে জড়ান।এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার অশান্তি হলেও মোহাম্মদ রহিম তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করেনি।
মহিলার 12 বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছিল। তার একটি 9 বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।সন্তানের জন্মের পরে, তার স্বামী চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। ঐ মহিলা সংসার চালাতে প্রতিদিন লেবারের কাজ করেন। ঘটনাক্রমে প্রায় দুই মাস আগে, তিনি একজন অচেনা ব্যক্তির কল পেয়েছিলেন মোবাইলে,যেখানে এক অপরিচিত ব্যাক্তি নিজেকে অর্জুন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।মহিলা বহুবার তার সাথে কথা বলা বন্ধ করার চেষ্টা করলেও,মোহাম্মদ রহিম হিন্দু সেজে অর্জুন নাম নিয়ে তাকে বার বার বিয়ের অজুহাতে প্রলুব্ধ করে।
১৫ নভেম্বর মোহাম্মদ রহিম ঐ মহিলার বাড়িতে আসেন এবং টানা পাঁচ দিন শারীরিক সম্পর্ক করে।এরপর ২০ নভেম্বর, যখন মোহাম্মদ রহিম ঐ মহিলার বাড়ি থেকে ফিরে যাবার কথা বলে তখন সেই মহিলা তাকে বিয়ের কথা বলেন।এরপরেই মোহাম্মদ রহিম তাকে তার মুসলিম পরিচয় সম্পর্কে অবগত করে এবং বলে বিয়ে করতে চাইলে ঐ মহিলাকে ইসলাম ধর্মা গ্রহণ করতে হবে।মোহাম্মদ রহিম তাকে বলেন যে তাঁর আসল নাম মোহাম্মদ রহিম এবং ঐ মহিলা ইসলাম গ্রহণ করতে রাজি না হলে তিনি তাকে বিয়ে করবেন না।
এরপর ঐ মহিলা মোহাম্মদ রহিমের আসল পরিচয় সম্পর্কে জানতে পেরে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে এবং মোহাম্মদ রহিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।এরপর রহিমকে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে মহিলা থানায় জানান, রহিম তাকে দুই মাস ধরে হয়রানি করছিল। তিনি যখন কথা বলতে রাজি হননি, তখন রহিম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্কে জড়ান।
ক্রমশঃ
©সিংহবাহু