সুপরিকল্পিত ভাবে হিন্দু বিনাশের একটি সুপ্ত যুদ্ধ -লাভ জিহাদ

লাভ জিহাদ সম্পর্কে আমরা অনেকেই অল্পবিস্তর জানি অথবা শুনেছি। বর্তমানে ভারতবর্ষ জুড়ে লাভ জিহাদ সুপরিকল্পিত ভাবে হিন্দু বিনাশের একটি সুপ্ত যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। হিন্দু শব্দটি উচ্চারণ করলাম তার একটি বিশেষ কারণ আছে, আমরা এই চরম সত্যতা অনেকেই উপলব্ধি করেছি বা অনেকেই চোখের সামনে দেখছি যে এই লাভ জিহাদের শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিন্দু মেয়েরা হয়। জিহাদ মানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সমগ্র শক্তি নিয়োগ করা অর্থাৎ হিন্দু মেয়েদেরকে মুসলিম যুবকরা বিভিন্নভাবে ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়ে যেকোনো প্রকারে বিবাহ করবেই। তাতে নাকি তাদের 14 পুরুষের বেহেস্ত বা স্বর্গ প্রাপ্তি হয়। লাভ জিহাদের চক্রে হিন্দু মেয়েটি ফেঁসে গেলেই বিবাহের পরে সুপরিকল্পিত ভাবে তাদেরকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। একটি ধারা আমরা অনেকেই লক্ষ্য করেছি, যখন একটি হিন্দু মেয়েকে একটি মুসলিম ছেলে বিবাহ করে ফেলে, তারপর সেই ছেলেটির পরিবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েটিকে মেনে নিতে চাইনা।তাদের প্রথম শর্ত থাকে যে সে ইসলাম ধর্ম নেয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তার ইসলামীকরণ না হয় অর্থাৎ ইসলাম ধর্মে মেয়েটি ধর্মান্তরিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মেনে নেন না কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে যায়। এরপর মেয়েটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয় পরিস্থিতির চাপে পড়ে।

এরপর মেয়েটিকে মুসলিম করার ঘটনার প্রতিবাদ হলে, আমাদের সমাজের তথাকথিত কিছু সেকুলার মানুষজন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বামপন্থীরা চোখে ঠুলি এঁটে লাভ জিহাদ অর্থাৎ এই হিন্দু মেয়ের ইসলামীকরন কে স্বাগত জানিয়ে ভালবাসার দোহাই দিয়ে এগিয়ে আসে নিকাহ অর্থাৎ সেই বিবাহের পক্ষে। তাদের কথায় লাভ জিহাদ বলে কোন শব্দ হয় না। এই সুশীল সমাজের বক্তব্য ভালোবাসার কোনো ধর্ম হয়না। যদিও তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় ভালোবাসার কোনো ধর্ম না থাকলে হিন্দু মেয়েটিকে অঙ্কিতা থেকে আয়েষা কেন হতে হল?

দিনের পর দিন এই চরম নিষ্ঠুর সত্যতা আমরা চোখের সামনে দেখলেও তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারিনা। কিন্তু একটা মুসলিম পরিবারের মেয়ে হিন্দু পরিবারে এসে জোরপূর্বক মুসলিম থেকে হিন্দু করা হয়েছে এরকম নিদর্শন একটাও নেই।  ইসলাম ঘরের মেয়ে হিন্দু ঘরে খুব কমই আসে এটা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারিনা। কারন মুসলিম মেয়েকে হিন্দু ছেলে ভালোবাসলে তার স্বরুপ সেই ছেলেটির পরলোকগমন নিশ্চিৎ হয়ে যায়, বা ছেলেটির পরিবারও সেই নৃশংসতা থেকে নিস্তার পায়না। ভারতবর্ষে প্রতিদিন হিন্দু সংখ্যা কমে যাওয়ার মূল কারণ লাভ জিহাদের সাজানো পরিকল্পনা অথবা সুপ্ত যুদ্ধ। এই খেলার পুতুল হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চা  টিনএজার মেয়েরা। ছোটো হওয়ার দরুন তাদের সঠিক বিচার করার ক্ষমতা সেই মুহূর্তে থাকেনা। তাই তাদেরকে ফুঁসলিয়ে ভালোবাসার জালে ফেলে, ভালো ভালো গিফ্ট দিয়ে, ভালো খাবার খাইয়ে, ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে তাদের মন মানসিকতা পাল্টে দেওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এই চরম সত্য ইতিমধ্যে অনেকেই জানেন এবং আমরা এটাও জানি এর বিরোধীতা করার কোন জায়গা নেই। আমরা জানি একটা বাচ্চাকে বোঝানো খুব সোজা, এটা আমরা প্রতিটা পরিবার জানি একজন সন্তানকে ভালো কিছু দিলে সে খুশি হয়, ঠিক তেমনি এই লাভ জিহাদ।যেখানে এই অল্পে খুশি হবার কারণটা খুব ভালো ভাবে কাজে লাগানো হয়।

তাই এই জিহাদ রুপি দেখানো ভালোবাসার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে আমাদের প্রত্যেককে অর্থাৎ সমাজের প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে এবং বিশেষ করে হিন্দু ঘরের মেয়েদের বাবা মাকে সর্বদা জাগ্রত থাকতে হবে।

লাভ জিহাদকে প্রাথমিকভাবে অনেকে স্বীকার না করলেও আসলে এটি যে ভালোবাসার নামে হিন্দু মেয়েদের ইসলামী করনের অর্থাৎ জিহাদের একটি প্রাথমিক পর্যায় সেটি অস্বীকার করতে পারিনা আমরা।।

তাই সামাজিক শিক্ষার সাথে সাথে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাথে আমাদের আগামী প্রজন্মকে সচেতন করা আজ আবশ্যিক।

এই ঘটনা যে কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে সেটা আজ স্পষ্ট ,লাভ জিহাদ রুখতে কঠোর আইন আনার দাবি জানিয়ে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে উদ্বেগ জানানোর ঘটনাতে। ওই চিঠিতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক সংসদে।

চিঠিতে তিনি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন, “ভারতের কোনও না কোনও রাজ্যে প্রতিদিনই লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্যে লাভ জিহাদের ঘটনা সামনে আসছে। লাভ জিহাদ রুখতে বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিজ নিজ রাজ্যে আইন তৈরি করার কথা ভাবছে, তাই অনুরোধ করছি লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক সংসদে। যাতে কেউ এই ঘৃণ্য কাজ করার কথা না ভাবে।”

©অতনু লাহা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.