শুক্রবার সকালে হয়াদরাবাদে গণধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চার যুবকের এনকাউন্টার নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশ। ধর্ষকদের কড়া শাস্তির দাবিতে কঠিন আইন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে সরব হয়েছেন অনেকেই। তার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। শুক্রবার সন্ধেয় ফের এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী হল দেশ। পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে পালাল এক অটোচালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটি ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে।
ঘটনা বিহারের দারভাঙার। দিনকয়েক আগেই বক্সারে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তারপর সেই দেহ পুড়িয়ে দেয় অপরাধীরা। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। নির্যাতিতার পরিচয়ও পায়নি পুলিশ, ধরা পড়েনি অভিযুক্তরাও। ফের শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে দারভাঙায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম শাহনি। ঘটনাটা ঘটে গতকাল সন্ধের দিকে খারুয়া মোড় এলাকার কাছে। শিশুটি তার আরও দুই বন্ধু সঙ্গে রাস্তার ধারেই খেলছিল। শাহনি সেই সময় অটো নিয়ে বাচ্চাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। মেয়েদের বলে অটোতে করে ঘুরতে নিয়ে যাবে। বাকিরা রাজি না হলেও একটি মেয়ে অটোতে উঠে বসে। এরপর শিশুটিকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শাহনি।
পুলিশ সুপার বাবু রাম বলেছেন, শিশুটির উপর নারকীয় নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারা ছোট্ট শরীরটাতে একাধিক কালশিটের দাগ। মারধরও করা হয়েছে তাকে। ডাক্তাররা বলেছেন শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে গতকাল রাতেই জীবনের লড়াই থেমে গেছে উন্নাও নির্যাতিতার। কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকাতে ৬ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ফের শিশু ধর্ষণে কলঙ্কিত হল দেশ।