ভারতের পরে আফগানিস্তান। এতদিন মুম্বই সহ ভারতের নানা জায়গায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। এবার আফগানিস্তানে ভারতের যে সব অফিস আছে, সেখানে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর চেষ্টায় আছে তারা। সেজন্য আরও এক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে দানগাম জেলায় সম্প্রতি লস্কর নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের বৈঠক হয়। সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, আফগানিস্তানে ভারত ও আমেরিকার যত অফিস আছে, সেখানে হামলা চালাতে হবে। নয়া দিল্লি বা ওয়াশিংটনের যে কুটনীতিকরা আফগানিস্তানে আছেন, তাঁদেরও হত্যার চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য পাকিস্তান থেকে আত্মঘাতী বোমারু পাঠানো যেতে পারে।
জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে এখন প্রবল চাপে রয়েছে পাকিস্তান। আমেরিকা এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স নামে এক সংস্থা পাকিস্তানকে বলেছে, জামাত উদ দাওয়া এবং জৈশ ই মহম্মদের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে পাকিস্তান আর কোনও সাহায্য পাবে না। এর পরে লস্কর নেতা হাফিজ মহম্মদ সইদকে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়।
পেন্টাগন ও রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি শাখা থেকেও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, কয়েকশ লস্কর জঙ্গি এই মুহূর্তে রয়েছে আফগানিস্তানে। পেন্টাগন বলেছে, তাদের সংখ্যা ৩০০। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ৫০০। তারা কুনার ও নাঙ্গারহার প্রদেশে সক্রিয়।
ভারতের এক গোয়েন্দা অফিসার বলেছেন, আফগানিস্তানে ক্রমশ লস্কর জঙ্গিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে, হাফিজ মহম্মদ সইদের ছেলে তালহা সইদ এখন আফগানিস্তান নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন বেশি। ভারত আফগানিস্তানে লস্করের কার্যকলাপ সম্পর্কে যা তথ্য পেয়েছে, তা জানিয়েছে আমেরিকা ও আফগানিস্তানের সরকারকে।